সুবুদ্ধ ছিল রাজার কুবোধ নাগাল পাইল।
বিন্নার ডাল দিয়া রাজা দন্ত খিরন করিল॥
কপালের লকুখি রাজার ছাড়িয়া পলাইল॥৬৫৫
পাত্রর গোড়া দিয়া গোড়া চুলকাইল।
বাহ বছর দুগ্ধ রাজার কপালেক বসিল॥[১]
জত আছে আইয়ত প্রজা ফিরি পালায়া গ্যাল॥
রাহু কেতু শনি আসি গব্ববাস হইল॥
বাম হস্ত দিয়া সিদ্দা ডাইন হস্ত ধরিল।৬৬০
বৈদেশ নাগিয়া পন্থ ম্যালা দিল॥
সাত দিনকার রাস্তা জাএয়া সিদ্দার বুদ্ধি আলেক হইল।
রাজার কন্দের ঝোলা ধিয়ানত পসান করিল॥
- ↑ পাঠান্তর—
গুরুদেবের বাক্য লঙ্ঘন না করিল।
পাএর উপর পা থুইয়া পা চুলকাইল॥
আড়াই অঙ্গুলি বিন্নার খ্যাড়ে দাঁত মাঞ্জন করিল।
বার বৎসর দুক্খ রাজার কপালে লিখিল॥
জদি কালে ফিরি না দ্যাখে রাজ দুলালিয়া।
বাইস দণ্ডের রাজা করিম ঐপাটত বসেয়া॥
সুবুদ্ধি রাজার বেটা কুবুদ্ধি নাগাল পাইল।
কর্ত্তেক দুর জাইয়া রাজা ফিরিয়া দেখিল॥
সন্য সেনা দেখি রাজা ভয়ঙ্কর হইল॥
জেই জেটে গুরু ধন মুরিরা জাওছোঁ মাতা।
সেই সন্য সেনা আইসে মোর পাছে সাজিয়া॥
হাড়ি বলে হারে বেটা রাজ দুলালিয়া।
রাজুলি আড়ির বেটা আজলে গ্যাল কাল।
হাড়ি সিদ্দা হইয়া তোমাক বুঝাব কত কাল॥
গোড়ার উপব গোড়া থুইয়া পা চুল্কাও।
আড়াই অঙ্গুলি বিন্নর খ্যাড়ে দাঁত মাঞ্জন কর।
দেখি সন্য সেনা ফিরি ঘর জাইবে॥