জখনে ধম্মিরাজা গুরুক না দেখিল।
গুরু গুরু বলিয়া রাজা কান্দিতে নাগিল॥
মহল হতে আ’নলে গুরু বুধ ভরসা দিয়া।
অরুন জঙ্গলে বনবাস দিয়া গুরু পালাইল ছাড়িয়া॥৭১৫
চ্যাংরা বয়ক্রমে রাজার গাএ ছিল বল।
দুই হস্তে ধম্মিরাজা ভাঙ্গিল জঙ্গল॥
এই জন্য আসিলাম আমি তোমার দরবারে নাগিয়া।
রাজার জিউ কে আনিয়াছেন জমপুরক নাগিয়া॥
চিত্রগোবিন বলে গুরু শুন নিবেদন।
আটার বৎসর জন্ম ঊনিস বৎসরে মরন॥
কুড়ি বৎসর পুরিছে রাজার জঙ্গলের ভিতর।
এ কারনে আনিয়াছি আমরা রাজাক জমপুরির ভিতর॥
কোনটি হয় তোমার রাজার জিউ ন্যাও চিন্ন করিয়া।
হাড়ি বলে হারে বেটা কার প্রানে চাও।
জ্যামন আনিয়াছেন রাজার জিউ জমপুরির ভিতর।
সেই রকম জিউ দিয়া আইস জঙ্গলের ভিতর॥
গোদা জম আর আবাল জম নইলে রাজার জিউ সঙ্গে করিয়া।
শিঘ্র করি চলি জায় জঙ্গলক বলিয়া॥
জঙ্গলতে জাইরা জন দরশন দিল।
হস্ত ধরি হাড়ি রাজাক চিৎ করিল॥
বাম পা দিলে রাজার বুকত তুলিয়া।
বার অঙ্গুলি তৃন খোচা খুলিলে টানিয়া॥
হুহু বলি হাড়ি হুঙ্কার ছাড়িল।
শরিলের রক্ত রাজার শরিলে মিলাইল॥
তাড়াতাড়ি করি রাজার জিউ জম দিলে ছাড়িয়া।
জিত্তাশঙ্ক মন্ত্র হাড়ি শরিলে জপিয়া।
জিবদান দিলে রাজাক হাড়ি ঐখানে বসিয়া॥
জখন ধম্মিরাজা জিবদান পাইল।
গুরু গুরু বলি মহারাজা কান্দন জুড়িল॥