মা আজকার মনে জাইছি আমি ঠাকুর বাড়ি নাগিয়া।
কাল প্রাতে সন্ন্যাস হব বঙ্গের বিনোদিয়া॥
জখন রাজা সন্ন্যাসে জবদিল।
ফেরুসাক নাগি বুড়ি মএনা গমন করিল॥৪২৫
আত্রি করে ঝিকিমিকি কোকিলা কাড়ে রাও।
শেত কাকা বলে রাত্রি প্রভাও প্রভাও॥
সয্য। হোতে ডাকিনি মএনা ঝাড়িয়া তোলে গাও॥
সাজ সাজ বলিয়া হাড়ি সাজিবার নাগিল।
আলগৈড় মালগৈড় তিনটা গৈড় দিল॥
মন রাশি ধুলা সরিলে মাখিল।
আসি মন পাটা নইলে সিকাই করিয়া।
চৌরাসি মন নোহার টোপ মস্তকে করিয়া॥
তেরাসি মন নোহার আসা নইলে হস্তে করিয়া।
বেরাসি মন নোহার খড়ম চরনে নাগেয়া।
সাজোঁ সাজোঁ বলি হাড়ি ব্যারাছে সাজিয়া॥
ওতো হাড়ির নামে নামেতো হালই।
জল পান করিতে নইলে বাইশ মন কলাই॥
হাত ম্যালে হাড়ি সিদ্দা হস্ত গ্যালো আকাশ।
পা ন্যালে হাড়ি সিদ্দা পা গ্যালো পাতাল॥
গাএর রোয়াঁ বাড়েয়া দিলে নাড়িয়া তালের গাছ
মাতার মটুক বাড়ে দিলে শ্রি কবিলাস॥
জবতে হাড়ি সিদ্দা নড়ে আর চড়ে।
তবতে বসমাতা কোড়ত কোড়ত করে॥
উঠিল হাড়ি গাও মোড়া দিয়া।
সরগে নাগিল মস্তক হুটুস করিয়া॥
হাড়ি বলে হায় বিধি মোর করমের ফল।
কি জ্ঞান দ্যাখাইম এখন রাজার বরাবর॥
আপনার সাজনি হাড়ি সাজিবার নাগিল।
ঝাড়ু দ্যাওয়া ঝাটা নিলে বগলে করিয়া।
ঠুটা এখান কোদাল নইলে কান্দে করিয়া॥