পাতা:গোপীচন্দ্র (দ্বিতীয় খণ্ড) - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/২৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৪৭২
গোপীচন্দ্রের সন্ন্যাস

এত বলি ভাবে খেতু আপনার চিতে।
কাহার শকতি আছে গুরু হাড়িফাক মারিতে॥
প্রণাম করিয়া খেতু করিল গমন।
রাণীকে কহিল যায়া করিতে রন্ধন॥
চারি রাণীর মধ্যে ছিল অদুনা প্রধান।
গঙ্গা জলে যাইয়া রাণী করিলেন স্নান॥
স্নান করিয়া যায় রন্ধন করিতে।
এক অন্ন পঞ্চ বাঞ্ছন রান্ধিল তুরিতে॥
ভৃঙ্গারে ভরিল বিষ পূরি কলসিতে।
সুবর্ণের থালি খানি বিষ দিয়া তাতে॥
এইরূপে চারি রাণী করিল রন্ধন।
সেইক্ষণে আইল হাড়ি করিতে ভোজন॥
বিষ দিয়া হাড়িফা সিদ্ধা পাও প্রক্ষালিল।
বিষের পিড়িতে সিদ্ধা ভোক্তনে বসিল॥
অন্ন পারশ করে রাণী মনের অতি সুখে।
শিবনাম লয়া সিদ্ধা তুলে দিল মুখে॥
অন্ন ব্যঞ্জন রাণী ভরে সোনার থাল।
একবারে দিল মুখে না ভরিল গাল॥
আর থাল ভরে রাণী অন্ন আানি দিল।
সে থাল তুলিয়া হাড়ি মুখেতে ঢালিল॥
অন্ন দিতে না পারিয়া রাণী হইল ফাফর।
সব খায়ে বলে হাড়ি না ভরে উদর॥
বিষ দিয়া রাণী যত করিল রন্ধন।
সকল খাইল হাড়ি না হইল ভোজন॥
ভোজন করিয়া হাড়ি বিষিতে আঁচাইল।
চালের খেড় দিয়া সিদ্ধা দন্ত খুঁটিল॥
ভোজন করিল সিদ্ধা মনের কৌতুকে।
ভৃঙ্গার ভরা ছিল বিষ তুলে দিল মুখে॥