ভবানীদাসের পুঁথি—
জদি জ্ঞান থাকিত হাড়িফার ধড়ে।
এক পেটের লাগি কেনে হাড়ি কর্ম্ম করে॥ (পৃঃ ৩৬৯)
রংপুরের গাথা—
জমের বেটা মেঘনাল কুমর পাঙ্খা ঢুলায়। (পৃঃ ৬১)
ভবানীদাসের পুঁথি—
জমের পুত্র মেঘনালে ছত্র ধরিয়াছে। (পৃঃ ৩৭০)
রংপুরের গাথা—
প্রথমে হুঙ্কার ছাড়ে ঝাড়ু বলিয়া।
আপনে ঝাড়ু ব্যাড়ায় হাটখোলা সাম্টিয়া॥
তারপরে মারিলে হুঙ্কার কোদালক বলিয়া।
আপনে কোদাল ব্যাড়ায় হাটখোলা চেচিয়া॥ (পৃঃ৮১)
ভবানীদাসের পুঁথি—
এক হুঙ্কার সিদ্ধা-এ দিলেন ছাড়িয়া।
উনশত কোদাল জাএ দর্খল চাছিয়া॥
সোনার ঝাড়ুএ জাএ খলা ঝাড়ু দিয়া॥ (পৃঃ ৩৭০)
রংপুরের গাথা—
সোম বারক দিনে তোমার মুড়িয়া জাবে মাথা।
মঙ্গলবার দিনে তোমার সিলাবে ঝুলি ক্যাঁথা॥ (পৃঃ ১৪৭)
ভবানীদাসের পুঁথি—
শনিবারে রাজা তুমি মুড়াইবে মাথা।
রবিবারে নৃপ তুমি গলে দিবা কাঁথা॥ (পৃঃ ৩৭৭)
রংপুরের গাথা—
ঝুলিত হস্ত দিয়া রাজা পড়িয়া গ্যাল ধান্দা।
ঝুলির কড়ি ঝুলিত নাই গুরু বাপ এ ক্যামন কথা॥
উপরে আছে গিরো গাইট তলত নাই জে ভাঙ্গা।
ঝুলির কড়ি ঝুলিত নাই গুরু বাপ মোগ থুইয়া খা বান্দা॥ (পৃঃ ২২৮)
হাতে পদ্দ পাএ পদ্দ কপালে রতন জলে।
এই কি খাটিবার পারে আমার চাসা নোকের ঘর॥ (পৃঃ ২৩৯)