পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১৩০
গ্রহ-নক্ষত্র

পণ্ডিতে নানা কথা বলেন। আমরা এখানে একজন বড় জ্যোতিষীর কথাই তোমাদিগকে বলিব।

 এই জ্যোতিষীটি বলেন, গ্রহকণিকাগুলি এখন ছিন্নভিন্ন হইয়া থাকিলেও সেগুলি জমাট বাঁধিয়া এককালে মাঝারি রকমের একটি গ্রহের আকারে ছিল। তার পরে হঠাৎ এক দিন তাহার ভিতরকার গরমে বা বৃহস্পতির টানে গ্রহটির সুগোল দেহ হাজার হাজার খণ্ডে ভাঙিয়া গিয়াছিল। আমাদের পৃথিবীতে কোনো জিনিস ভাঙিয়া মাটিতে পড়িলে, সেটি যেখানে পড়ে পৃথিবীর আকর্ষণে সেইখানেই থাকিয়া যায়। কিন্তু মহাশূন্যে কোনো জিনিস ভাঙিয়া ধূলা হইয়া গেলেও তাহার নিস্তার থাকে না,—ধূলাগুলিও গ্রহের মত ঘুরিতে থাকে। কাজেই সেই অজানা গ্রহের টুকরাগুলিও কোনো স্থানে স্থির হইয়া দাঁড়াইতে পারে নাই, ভাঙাচুরা অবস্থায় সূর্য্যকে ঘুরিতে আরম্ভ করিয়াছিল। গ্রহকণিকাগুলিকে কোনো ভাঙা গ্রহের টুক্‌রা বলিয়া জ্যোতিষীরা মনে করিতেছেন।

 এ পর্য্যন্ত যে ছয় শত গ্রহকণিকার সন্ধান পাওয়া গিয়াছে, একত্র করিলে তাহাদের আকার আমাদের চাঁদের অর্দ্ধেকেরও সমান হয় না। এজন্য জ্যোতিষীরা বলিতেছেন, আকাশের ঐ জায়গায় এখনো হাজার হাজার গ্রহকণিকা আছে। এগুলির মধ্যে যাহারা বড়, একে একে হয় ত তাহাদিগকে দেখা যাইবে; কিন্তু যাহারা নিতান্ত ছোট কোনো কালেই তাহাদের সন্ধান পাওয়া যাইবে না।

 একটা বড় গ্রহ ভাঙিয়াই যে গ্রহকণিকার সৃষ্টি হইয়াছে, তাহার দুই একটা লক্ষণও অল্পদিন হইল ধরা পড়িয়াছে। খেলা করিবার সময়ে যখন তোমার মার্ব্বেল্‌টা চারি পাঁচ খণ্ডে ভাঙিয়া যায়,—তখন সেই ভাঙা অংশগুলির আকার কি রকম হয় দেখিয়াছ কি? টুক্‌রাগুলির আকার কি কখনো গোল হয়? কখনই হয় না। কোনোটাকে তিনকোণা