পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/১৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।

বুধ হইতে আরম্ভ করিয়া শনি পর্য্যন্ত যে ছয়টি গ্রহের কথা তোমাদিগকে বলিলাম, দেড় শত বৎসর পূর্ব্বেকার জ্যোতিষীরা কেবল ইহাদেরই কথা জানিতেন; শনির পরে ইউরেনস্নেপ্‌চুন নামে যে দুটি গ্রহ আছে, তাহাদের কথা জানিতেন না।

 আমাদের পূর্ব্বপুরুষেরা খুব জ্যোতিষের আলোচনা করিতেন; তাছাড়া অনেক প্রাচীন সভ্যজাতিও জ্যোতিষ লইয়া নাড়াচাড়া করিতেন। ইউরেনস্নেপ্‌চুনের কথা ইহাদেরও জানা ছিল না; জানা থাকিলে আমাদের প্রাচীন জ্যোতিষের পুঁথিপত্রে ইউরেনসের একটা ভাল নাম লেখা থাকিত। প্রাচীনকালে দূরবীণ ছিল না, এইজন্যই যে-সব দূরের গ্রহ-উপগ্রহদিগকে খালি চোখে দেখা যায় না, তাঁহারা সেগুলির সন্ধান করিতে পারেন নাই। খুব ভাল দূরবীণ হাতের গোড়ায় পাইয়াই আজকালকার জ্যোতিষীরা ইউরেনসের মত দূরের গ্রহকে হাজার হাজার তারার মধ্য হইতে চিনিয়া লইতে পারিয়াছেন।

 ইংরাজি ১৭৮১ সালে সার্ উইলিয়ম্ হার্সেল্ নামে ইংলণ্ডের একজন বড় জ্যোতিষী সকলের আগে ইউরেনস্‌কে দেখিতে পাইয়াছিলেন। তিনি নিজের হাতে একটা বড় দূরবীণ নির্ম্মাণ করিয়াছিলেন। এই দূরবীণেই ইউরেনস্ ধরা দিয়াছিল।

 হার্সেল্ সাহেবের জীবনের ঘটনা এবং তাঁহার ইউরেনস্ আবিষ্কারের কথা বড়ই আশ্চর্য্য। নানা অসুবিধার মধ্যে থাকিয়া কেবল