পাতা:গ্রহ-নক্ষত্র.pdf/২৮৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
সূর্য্য-জগতের উৎপত্তি
২২৯

মঙ্গল ইত্যাদির চাকা; জমাট বাঁধিতে পারে নাই বলিয়া, তাহাদের বাষ্পরাশি এখনো ছড়াইয়া আছে।

 দ্বিতীয় ছবিটি দেখিলে নীহারিকা হইতে সূর্য্য-জগতের সৃষ্টির কথা তোমরা আরো ভালো করিয়া বুঝিবে। বইয়ের পাতার ক্ষুদ্র জায়গাটুকু আকাশের দু’হাত দশহাত জায়গা নয়, ইহার প্রসার কোটি কোটি মাইল। সৃষ্টির আগে সেখানে জ্বলন্ত নীহারিকার বাষ্প ছুটাছুটি করিত;—ছবিটিকে ভাল করিয়া দেখিলে তাহা বুঝিতে পারিবে। এই আগুনের ঝড়ের মধ্য দিয়াই যে, আমাদের এমন সুন্দর পৃথিবীখানি জন্মিয়াছিল, একথা যেন মনে করিতেই ইচ্ছা হয় না। কিন্তু জ্যোতিষীরা ইহাই শত শত বৎসর দেখিয়া শুনিয়া চিন্তা করিয়া স্থির করিয়াছেন, কাজেই তাহাতে আর অবিশ্বাস করা যায় না।

 ছবিতে দেখ, ইউরেনস্ ও নেপচুনের জন্ম হইয়া গিয়াছে, তাহারা এখন নীহারিকার ঘূর্ণিপাক্ হইতে যেন দূরে পড়িয়া আছে। শনি ও বৃহস্পতিও প্রায় তাহাদের নিজের মূর্ত্তি পাইয়াছে। কিন্তু মঙ্গল, পৃথিবী, শুক্র ও বুধ এখনো নীহারিকার ঝড়ের মধ্যে ডুব দিয়া আছে।

 একটি অবয়বহীন জ্বলন্ত নীহারিকা হইতে এই রকম সূর্য্য ও গ্রহদের উৎপত্তি আশ্চর্য্য ব্যাপার নয় কি?