দ্বিতীয় প্রস্তাৰ । సెనె প্রাণত্যাগ করিতে হয়। এমন অবস্থায় স্বদেশজাত যে কোন বস্তু, যাহা বিদেশীয়ের নিকট বাঞ্ছনীয়, তদ্বারা বিনিময় ও ব্যবসায়ের প্রবর্জন ব্যতীত, সকল স্থানের সমভাবে জীবিকা নিৰ্ব্বাহ হইতে পারে না । এজন্য অন্যান্ত দেশের সহ তুলনায় এখানে, প্রত্যেক প্রদেশ অধুষিত হওয়ার অপেক্ষাকৃত অল্পকাল পরেই, পরস্পরের মধ্যে বাণিজ্যের স্বত্রপাত হয়। প্রদেশসমূহ পরস্পরের মধ্যে যেরূপ স্বতন্ত্র, তাহাতে এই বাণিজ্যস্থত্রে দুরদর্শিতা, বিজ্ঞতা এবং লোকচরিত্র-নিৰ্ম্মাণ সম্বন্ধে বিদেশবাণিজ্যের যে সকল আনুষঙ্গিক ফল, সেই সকল ফললাভও হইয়৷ থাকে। ক্রমে লোকবহুলতায় যখন বাণিজ্যের উত্তরোত্তর আধিক্য হয়, তখন এক প্রদেশ হইতে অন্ত প্রদেশে যাইতে দুর্গম স্থলপথের ষে ক্লেশ, তাহ বিশেষরূপে অনুভূত হইতে থাকে এবং সেই অনুভবশক্তির তাড়না হইতে, প্রতিকার স্বরূপ জলপথে গমনাগমনের প্রবর্তন হয় ; এই প্রবর্তনের ক্রম-পুষ্টতায়, তদ্রুপ গমনাগমনের যান প্রকরণাদি সম্বন্ধে, ক্রমে অথচ শীঘ্র শীঘ্র উৎকর্ষ সাধিত হইতে থাকে । এরূপ ক্রমাগত গতায়াত ও সংস্রবে, পরস্পরের মধ্যে স্বভাবতঃই ঘনিষ্ঠত উপস্থিত হওয়াতে, সকল প্রদেশের অধিবাসীরা অন্তরে অন্তরে স্বাতন্ত্র্যযুক্ত থাকিলেও, প্রথম কালিক ব্যবহারিক কারণের প্রাবল্যবশে, বাহিকে ক্রমে একজাতিত্বের আকার ধারণ করে। রীতিনীতি পথে কুটশিক্ষাশূন্ত এরূপ প্রাদেশিকদিগের মধ্যে, একের রীতি নীতি অপর দ্বারা রূপান্তরিত, একের ধৰ্ম্ম তত্ব প্রভৃতি অপরের দ্বারা গৃহীত, ইত্যাদি সহজে এবং বিনা যত্নে আপনা হইতে হইয়া থাকে। যাহা হউক, তাহা হইলেও, বহুকাল ধরিয়া অবলম্বিত যে মানবীয় মনের স্বাতন্ত্র্যপ্রিয়ত, তাহা তদ্বারা অপলোপ হইতে পায় না ; প্রত্যুত তত্ত্বারা স্বাতন্ত্র্য ভাবের মলভাগ পরিত্যক্ত হওয়াতে, তাহ মার্জিত হইয়াই
