বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বিতীয় প্রস্তাৰ ) e సె তাহার উৎকর্ষ সাধিত হয় ; গ্রীসে তন্নিমিত্ত অচিরকাল মধ্যেই সমুদ্রগমনের যতটা উৎকর্ষ সাধিত হইয়াছিল, ভারতে তদ্রুপ নিয়ত ব্যবহারের কারণভাব হেতু তাহা হয় নাই । আবারও লক্ষ্য করিবার বিষয় যে, কেবল গ্রীকেরা যে বিদেশগমনের দ্বারা সামুদ্রিক বাণিজ্য সমাধা করিত তাহা নহে ; ইহাদেৱ প্রতিবেশী ফিনিকীয় ও কার্থেজবাসীরাও, অতি প্রাচীন কাল হইতে সমুদ্রগমনাগমনে প্রবৃত্ত হওয়ায়, গ্রীসে আসিয়া সৰ্ব্বদা বাণিজ্যাদি করিয়া যাইত। বলা বাহুল্য যে, ঐ সকল জাতির সহিত সংস্রব হেতু গ্রীকের পোতচালন ও বাণিজ্যতত্ত্ব পক্ষে উৎকৃষ্ট কৌশল সকল আরও অধিক পরিমাণে শিক্ষা করিবার সুবিধা পাইয়াছিল এবং তজ্জন্য আরও দুর্ব বিদেশ-গমন ও আরও বৈদেশিক বাণিজ্যের উৎকর্ষ বিধানে সক্ষম হইয়াছিল। এই সকল স্থত্রে, ব্যবহারিক কারণের কাৰ্য্যও অপরিমিত পরিমাণে হইতে পায় । অস্ত্রচালন ও পার্থিবচতুরতা শিক্ষাও, এ সকল স্বত্রে নিতান্তু অল্প হয় নাই ; যেহেতু ইয়ে, ইউরোপা, মিডীয় প্রভৃতি স্ত্রীহরণবৃত্তান্ত ও তদানুষঙ্গিক ঘটনাবলী সে পক্ষে যথেষ্ট সাক্ষ্য প্রদান করিতেছে । পুনশ্চ, মুহুমুহু তদ্রুপ বৈদেশিক সংস্রবজন্ত, গ্রীকদিগের যে সভ্যত তাহা বৈদেশিক সভ্যতার সহ সহানুভূতিশূন্ত হইতে পায় নাই। ভারতের তাৎকালিক প্রতিবেশিবর্গের মধ্যে তেমন কেহ না থাকায়, তদ্রুপ তদ্রুপ কারণের অভাবে তদ্রুপ তদ্রুপ কোন ফলষ্ট ফলে নাই এবং তজ্জন্ত ভারতীয় সভ্যতা, তাবৎ বৈদেশিক সভ্যতা সহ সহানুভূতিশন্ত হইয়া, একক ও স্বাতন্ত্র্যপূর্ণ ভাবে গঠিত ও বৰ্দ্ধিত হইয়াছিল। ' ক্রমে লোকবৃদ্ধি সহকারে দেশমধ্যে স্থান সঙ্কীর্ণ হইলে, ভারতীয়ের যেমন ব্রহ্মর্ষি হইতে ব্ৰহ্মাবৰ্ত্ত, ব্রহ্মাবৰ্ত্ত হইতে মধ্যদেশ, মধ্যদেশ