বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১২ e গ্রীক ও श्न्नूि । ক্ষুদ্র-ভাবৎ, উত্তরোত্তর বৃহৎ-ভাৰতকে অবলম্বন করিয়া এবং সৰ্ব্বোপরি মহান বৃহতে সকলেই কেন্দ্রীভূত হইয়া, সংসারচক্রে যে যাহার যথানির্দিষ্ট পথে কৰ্ম্মরত হইয়া ফিরিতেছে । জড়াজড় সকল সংসারে সেই একই দৃপ্ত এবং ক্ষুদ্র-বৃহৎ সামান্ত-মহৎ, ইত্যাদি অভিধান ও পৰ্য্যায়ভেদ, স্বস্ট স্ৰষ্টা বা দাস ও প্রভু, এতদুভয়ের পদার্থপতিত ছায়াপাতমাত্র। যে আকর্ষণস্থত্রে মহতের নিকট ক্ষুদ্র আকৃষ্টিত হয়, ক্ষুদ্রের স্বভাবরক্ষাও সেই আকর্ষণস্থত্রে হইয়া থাকে। যতক্ষণ যথানিয়মে ও যথাসম্ভবপ্রকারে ক্ষুদ্র মহতের দ্বারা আকৃষ্ট হইতে থাকে, ততক্ষণ তাহার স্বভাব ; সুতরাং পবিত্রত রক্ষিত হয়। ক্ষুদ্রে স্বভাবব্যত্যয় অর্থাৎ অপবিত্রতা বা গুণব্যতিক্রম দৃষ্ট হইলেই জানা যায় যে, সে আকর্ষণস্থত্রে ব্যতিক্রম বা বিকার ঘটনা হইয়াছে। উপরে আভাসিত হইয়াছে যে, মহাপ্রকৃতির পতি ও পরিচালকস্বরূপ পরমজ্ঞানাত্মক পরমাত্মা যিনি, তিনি বিশ্ববিধায়ক মহাশক্তিযোগে এবং মহাপ্রকৃতিরূপ ভাবদেহে আত্মপ্রকটত করিয়া থাকেন। এ নিমিত্ত, মহান আত্মা সকাশে ব্যষ্টি আত্মা অর্থাৎ জীবের যে আরুষ্টিত হওয়া তাহা, জীবমাত্রে দৃষ্ট উচ্চশক্তির প্রতি ভক্তি ও আসক্তি ; প্রাকতিক দেহের নিকট জীবদেহের বহুতো ; এবং প্রাকৃতিক তত্ত্বাভাস ও ক্রিয়াভাসের নিকট জীবের আশ্রয়-আশ্রিতভাব ; এই সকলের দ্বারা পরিচিত হয়। শক্তিমাত্রে নিজাপেক্ষা শ্রেষ্ঠতর। শক্তির আনুগত্য করিয়া থাকে এবং তজ্জন্তই আমরা দেখিতে পাই যে, এমন কি অধমতম ইতরজীৰকে পর্য্যস্ত, শ্রেষ্ঠশক্তি মনুষ্যের বস্ততায় আনিতে বা আকুগত্য করাইতে পারা যায়। মানবৎ, নিজাপেক্ষ উচ্চতর শক্তির প্রতি আসক্তিবশতঃ, পারলৌকিক ভাবে দেবতার এবং লৌকিকভাবে সমাজ ও রাজনীতির বশীভূত হইয়া থাকে। উচ্চশক্তির প্রতি এই