বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাৰ । S ©© অদৃষ্টহন্তে দোদুল্যমান হইতে লাগিল। “আমি কে” ”কোথা হইতে আসিয়াছি,” “কেন এ সংসারে স্থিতি”—“আমার অস্তিত্বের উদ্দেশু কি”—“কোথায় যাইব”—“এ বাহাজগতের সহিত আমার সম্বন্ধ কি? —এবং “কাহার আজ্ঞায় এই বাহজগৎ পরিচালিত হইতেছে;” নিরাশ্রয় মানবচিত্ত আকুলিত হইয়া এই সকল প্রশ্ন আপনাকে আপনি জিজ্ঞাসা করিতে করিতে, নিগঢ়ভাবে আত্মচিন্তায় নিমগ্ন হইয় গেল। চিন্তারও সীমা নাই ; আয়ালাপেরও সীমা নাই ; সুতরাং চিত্তে শান্তির আশা কোথায় ? চতুর্দিকে, যে দিকে তাকাই, কেবল একমাত্র স্বচ্ছন।তিমিররাশি দিশ্বলয়কে বিনষ্ট করিয়া, বিকটবেশে যুগপৎ হৃদয়কে আকম্পিত ও আকুলিত করিয়া তুলিতেছে । তাহার উপর --তাহার উপর—তাহার উপর, তথাপি কোথাও তাহার সীমা দেখিতে পাই না। আশানিরাশ সমপ্রায় অবলম্বন-ভ্রষ্ট কুলশূন্ত কালতরঙ্গে কেবল তাবুডুবু থাইয়া হাহাকারমাত্র সার, সে হাহাকারের ঘোর ঘট বায়েক দেখিতে চাও কি ? ঐ দেখ এক জন অতি প্রাচীন,কিন্তু কখনও নবগত, বৈদিক ঋষি, কিরূপ দুৰ্জ্জয় পাথরে পতিত হষ্টয়, তরঙ্গতুফানগত বিষম যোগাবেশে কি হৃদয়োম্মাদক অস্ফুট চীৎকার করিতেছে ! ঋষিটি মন্ত্রদ্রষ্টা, ভয়ে বিস্ময়ে গহন গভীরম্—ঘন ঘনান্ধকার প্রত্যক্ষ করিয়াই, সেরূপ চীৎকার করিয়াছিলেন। সে চীৎকারের ধ্বনি এরূপ দিগন্ত-বিশ্রুত যে তাহার শব্দ, এত দূরে, এ নানা আবৰ্ত্তময় কালতরঙ্গ ভেদ করিয়াও, আমাদের কর্ণর্গত হওয়ার পক্ষে কিছুমাত্র ক্রাট হইতেছে না ;–“সেই আদিতে সৎ, অসৎ, রজো বা ব্যোম, ইহার কিছুরই অস্তিত্ব ছিল না। বলিতে পার এ সকল কিসের দ্বারা আবরিত ছিল,—বা কাহার অভ্যস্তরেই বা এ সকলের বীজ নিষ্ঠিত ছিল ? যাহাতে আবরিত ছিল, লছা কি জল ?—ন গঠনমূ’