বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७५भ ७धर्छद । 耻 Y - কথা দেখিতে হইবে যে, স্বেচ্ছা ত আছে বটে, কিন্তু তাহার বিকাশক্ষেত্র ও পরিচালনের উপকরণ সকল কোথায় ?—বাহ্যজগতে, অর্থাৎ নিজ প্রকৃতি হইতে স্বতন্ত্র মহাপ্রকৃতি সংসারে । দেখা যায় যে, এই বাহাজগৎ কৰ্ম্মার্থে যখন যেরূপ উপকরণ সকল যোগাইতেছে, মানবীয় স্বেচ্ছ তখন কেবল তদনুসারিণী হইয়া পদচালনা করিতে সমর্থ—তদতিরিক্ত গমনে অসমর্থ। ইহাও প্রত্যক্ষ দৃষ্টিতে দেখা যাইতেছে যে, সেই সকল উপকরণরাশি, কখনও বা স্বেচ্ছার বশীভূত হইয়া কাৰ্য্য সকল উৎপাদন করিতেছে ; কখনও বা আবার স্বেচ্ছাকে তাহদের বহুতোয় আনিয়া, স্বীয় মতবিপরীতে, তন্দ্বারা কাৰ্য্যন্তর সকল উৎপাদন করাইয়া লইতেছে । সুতরাং বলিতে হইবে যে স্বেচ্ছ কখনও বা বাহাজগতের উপর প্রভুত্ব করিতেছে ; কখন বা আবার বাহাজগতের প্রভাববলে রূপান্তরিত হইয়া, তৎপ্রদর্শিত পথে গমন করিতে বাধ্য হইতেছে । অতএব এখন ইহা দ্বারা কি এমন অনুমিত হইতেছে না ঘুে স্বেচ্ছা ব্যতীত, স্বেচ্ছাতীতে আরও একটি কৰ্ম্মস্থত্ৰ সৰ্ব্বদা চরাচরপাশ্বে বর্তমান রহিয়াছে ? কিন্তু এক্ষণে জিজ্ঞাস্ত হইতে পারে যে, যে বাহাজগৎ, উপকরণ যোগাইবার ছলে, স্বেচ্ছাশক্তিকে উপশমিত ও রূপান্তরিত করিতেছে ; যাহা সমস্ত চরাচরকে পরিচালন করিয়া ফিরিতেছে, তাহাকে স্বয়ংওত পরিচালিত হইতে দেখা যায় ; তবে সে আবার, কাহার ইচ্ছাবশে চালিত হয় এবং সে ইচ্ছার কৰ্ত্ত বা কে ? এবং সে বাহ্যজগতের কৰ্ম্মস্থত্র বা কোথা হইতে উৎপন্ন হইল ? এতদুত্তরে সাংখ্যশাস্ত্র বলিয়া থাকেন যে, “মূলে মূলাভাবাৎ অমূলং মূলম্‌” এবস্তৃত প্রকৃতি বা প্রধান নামে আখ্যাত যিনি, তিনিই এই বাহাজগতের কৰ্ম্মস্বত্রস্বরূপা ; অথবা এ বাহাজগৎ তাঁহারই নিরবছিন্ন ক্রিয়ানিদর্শনস্বরূপ ।