বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় প্রস্তাব। > ፃፃ বর্ণনায় স্থিরত্ব ভাব গ্ৰীকসংসারে দেখা যায়, হিন্দুসংসারে তাহা দেখিতে পাওয়ার বিষয় নহে। তত্ত্বানুভূতির প্রকার ও ক্রম অনন্ত, এজন্য তাহার কল্পনারূপও নব নব ও অসীম। তাই বলি, কোনটা গ্রীকদিগের সঙ্গে তুলনা করা যাইবে ? এখন একটা সদৃশ কল্পনা পাইয়া তুলনা করিতে বসিলাম বটে, কিন্তু পরক্ষণেই আবার হয়ত আর একটা কল্পনা এমন বাহির হইতে পারে, যাহা তাহার সম্পূর্ণ স্বতন্ত্রদিকগামী। অধিক কথা কি, এই দেখ না কেন, এখনই যে ইন্দ্রের অভিষেক সম্বন্ধে এতটা বর্ণনা দিলাম, আর এক স্থানে সেই ইন্দ্র সম্বন্ধে কি বলিতেছে —“ইন্দ্র মিত্র বরুণ অগ্নি যম ইত্যাদি সেই একস্বরূপের কেবল বহুত্ব কল্পনা ও বহু নামস্বরূপ মাত্র।” (৩০) ইহাও এ স্থানে বলা কৰ্ত্তব্য যে, দেবদল সম্বন্ধে এরূপ একত্ব-নিৰ্ব্বাচক ও একেশ্বরত্ব-বিধায়ক বাক্য, সমস্ত গ্রীকপুরাণ খুজিলে, কোথায়ও একটি পাইবার সম্ভাবনা নাই। সে যাহা হউক, হিন্দু এবং গ্রীকের দেববিবরণ তুলনাস্থলে এরূপ বিসদৃশ ভাব ঘটিবার কারণ কি ?— মানবহৃদয়ে ধৰ্ম্মবীজের প্রথম বিকাশে, সুতরাং উচ্চতর শক্তিবোধের প্রথম স্ফ রণে, মানব নিসর্গনিহিত শক্তি সকলেতে প্রধানতঃ (৩) “ইন্দ্রং মিত্রং বরুণমপ্লিমাহুরথো দিব্যঃ সম্পর্ণে গরুত্মান । একং সদ্বিপ্রা বহুধা বদস্তাগ্নিং যমং মাতিরিশ্বানমাহু: ॥ ৪৬ ॥ ঋ: বে: ১।১৬৪ গ্রীকদিগের গ্রন্থ হইতে কোন মুলাংশ উদ্ধত না করিয়া হিন্দু বৈদিক গ্রন্থ হইতে কেবল মূলাংশ উদ্ধত করিতেছি কেন, তাহার একটু কৈফিয়তের প্রয়োজন। বৈদিকবিদ্যা অতি কঠিন ; স্বতরাং এই গ্রন্থে গৃহীত অর্থ বা ভাবসংগ্রহ পাঠকের অনুমোদিত না হইলে, মূল দেখিয়া যাহাতে তিনি নিজের সন্তোষ সাধন করিতে পারেন, তাহারই জন্ত মুলাংশ, যতদুর সস্তব হইতে পারে ও স্থানে কুলtয়, উদ্ধত করিয়া দেওয়া যাইতেছে। >ース