বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

> నా e গ্রীক ও হিন্দু। আপৎ হইতে তফাত থাকিয়া যৌবনস্থলভ মুখ এবং অর্থপ্রাচুর্য্যে এই জীবন অতিবাহিত করিতে সমর্থ হই ।” (৪৫) হিন্দুর পরলোক এরূপ নহে। কিন্তু এখানে একটা কথা বলা আবশ্যক। জাতিদ্বয় সম্বন্ধে যে তুলনা করিয়া যাওয়া যাইতেছে, তাহা তদুভয় জাতির জাতীয় জীবনের সমকালিকতা ধরিয়া নহে। সমকালিকতা পরিয়া সেরূপ তুলনা হইতেই পারে না, কারণ হিন্দু সভ্যতার উদয় সহস্র বা বহু সহস্ৰাধিক বর্ষ পূৰ্ব্বে, আর গ্রীক সভ্যতার উদয় সহস্র বা বহু সহস্রাধিক বর্ষ পরে। অতএব তুলনা করা যাইতেছে, যখন উভয়তঃ ঐতিহাসিক কালের প্রভাতোদয় হইয়াছে, তদানীন্তন সেই ঐতিহাসিক অবস্থা-সমত ধরিয়া । বাঞ্ছারাম, কথাটা একটু মনে রাখিয়া চলিও । হিন্দুর পরলোক এরূপ নহে। এ পরলোকের সংসার-চিত্র অতি অপূৰ্ব্ব, পরিষ্কার, পরিচ্ছিন্ন ও সম্পূর্ণ। ত্বন্থদুহিতা শরণু এবং বিবস্বানের পুত্ৰ যম, সূৰ্বপ্রথমে মৃত্যুর সহিত সাক্ষাৎ করিয়া পরলোকের প্রভুত্ব অধিকার করিয়াছেন । তিনি পাপের দণ্ডদাতা ; অথচ পুণ্যপ্রতিম পবিত্র দেহ এবং দিব্যমূৰ্ত্তি পিতৃলোকেরও অধিপতি। গ্ৰীক ত্রিশিরঃ কেবিরোস নামক কুকুরের ন্যায়, যমেরও পুরপ্রবেশের পথ শু্যামা ও সবলা নম্নী কুকুরীদ্বয়ের দ্বারা সৰ্ব্বদা সুরক্ষিত । পাপিগণ যমকিঙ্করের দ্বারা নীত হইয়া দুঃখভোগ করিয়া থাকে। কিন্তু পুণ্যবান যাহারা, তাঁহাদের সঙ্গে যমের অনুচরবর্গের কোন সংস্রব নাই ; অগ্নিদেব স্বয়ং তাহাদিগকে পুণ্যদেশে নীত করিয়া থাকেন এবং তথায় তাহারা অপার সুখভোগের ভাগী হয়। অগ্নিই পুণ্য (82) Teog, maxims.