পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৫১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । २8¢ পদার্থ এক মহাস্থষ্টিমূৰ্ত্তির অন্তভূর্ত ও তাঁহার অংশস্বরূপ। সেই স্বাক্টমূৰ্ত্তি মূলে সাদি হইলেও, উত্তরভাগে অনন্ত এবং নিত্য প্রতিরূপ। বিনা স্বাক্টকৰ্ত্তায় এরূপ স্বষ্টির উদয় হইতে পারে না এবং সেই স্বষ্টিকৰ্ত্তা যিনি, তিনিই অনাদি এবং অনন্ত জ্ঞান ও শক্তি সম্পন্ন পরমেশ্বর। পরমেশ্বর দেব ও মানব, জড় ও অজড়, সকলেরই কর্তা এবং তাঁহাদের এক ও অদ্বিতীয় অধীশ্বর। পুনশ্চ প্লেটে বলেন যে, এই স্বষ্টি ও স্বাক্টস্থ পদার্থ সমুদয় যখন ইন্দ্ৰিয়-বিষয়ক্কপ ও মুহুঃ পরিবর্তনশীল। তখন ইহারা কখনও সৎস্বরূপ হইতে পারে না। অতএব ইহাদের অতীতে এমন কোন একটি সত্তা আছে, যাহার ইহারা বাহ প্রচার ও যাহা ইহাদের পদার্থত্ব পক্ষে পরিমাণস্বরূপ হয়। একমাত্র সেই সত্তাকেই সৎ বলা যাইতে পারে, যেহেতু তাহার কখনও ক্ষয় বা ধ্বংস নাই এবং নিত্যই তাহ এক ও অক্ষুণ্ণ ভাবে অবস্থান করিয়া থাকে। এই সত্তাই প্লেটোর বর্ণিত সুবিখ্যাত “আইডিয়া” । স্থষ্টিমধ্যে এই সত্তা বা আইডিয়ার সন্নিবেশ কিরূপ, তাহা যথাস্থানে বিবৃত করা যাইবে । প্রাচীন গ্ৰীকতত্ত্ববিদবর্গ হইতে তত্ত্বভাগে যেরূপ, সেইরূপ তত্ত্বানুসরণের প্রণালীতেও, প্লেটােতে যথেষ্ট পার্থক্য দৃষ্ট হয়। প্লেটাের পূৰ্ব্বে তত্বানুসারিগণের মধ্যে রীতি ছিল যে, তাহারা উপস্থিত ও চলিত মতামতকে যথেষ্ট সত্য জ্ঞান ও তাহাকেই ভিত্তি স্বরূপ করিয়া, তাহার উপর বিষয়বাদ ও বিষয় স্থাপন করিয়া যাইত। চলিত মতামতকে যথেষ্ট সত্য বলিয়া গ্রহণ করার পক্ষে তাহারা এই কারণ দর্শাইত যে, সে সকল যদি সত্য না হইবে, তবে তাহা সৰ্ব্বসাধারণ্যে প্রচলিত ও সৰ্ব্বসাধারণ লোক কর্তৃক সত্য বলিয়া বিশ্বাসিত ও অনুস্থত হইবে কি জন্ত ? এরূপ তত্ত্বাবধারণে সাধারণতঃ সাধারণ-বুদ্ধি লোকসকল