গ্রীক ও হিন্দু । مواعين ج “হইবে আরোপিত হওয়ায় তাহার প্রভাবে ও সেই প্রভাব হইতে উত্তেজিত জননভাবের স্বভাবে, উৎপত্তি, বৃদ্ধি ও ক্ষয়াদি গুণযুক্ত স্বই পদার্থসমূহের প্রকটন হইয়া থাকে। জিনো কহেন, কাল পৃথিবীর গতির ব্যবধান মাত্র। উহার ভূত ও ভবিষ্যৎ ভাগ অসীম, কেবল ৰৰ্তমানভাগ অসীম । কালের সহ নিত্যভাবের সম্বন্ধ সম্বন্ধে প্লেটো বলিতেছেন যে, যাহা নিত্যস্বরূপে অবস্থিত, তাহা সৰ্ব্বদা এক অভেদ ও অপরিবর্তনীয় ; কোন সময়ে উহার যুবত্বও নাই—বৃদ্ধত্বও নাই, পূৰ্ব্বে কখনও উহা স্বল্টও হয় নাই, পরেও কখনও হইবে না, অর্নস্তকালই একভাবে আছে। অথবা ইঞ্জিয়গ্রাহ্য বিষয় সকলের উপর জননভাব যে সকল ঘটনা ও অবস্থাদি আনিয়া উপস্থিত করে, নিত্যভাব বস্তুতঃ তাহারও অধীন নহে । ইন্দ্রিয়গ্রাহ বিষয় সম্বন্ধে বলিতেছেন যে, উহারা অনন্তের অমুকারী কালপ্রভাবে সংঘটিত হয় এবং সংখ্যা ( ব্যষ্ঠিভাব ) দ্বারা বিভক্ত অন্তশ্চক্রানুবৰ্ত্তী হইয়া কালপথে নিয়ত আবৰ্ত্তিত হইয়াiথাকে ; অথাৎ ধ্বংস উৎপত্তি আদিযোগে কখনও উদয় কখনও বিলয় প্রাপ্ত হয়। প্লেটো বলিতেছেন যে, ইন্দ্রিয়গ্রাহ বিষয় সকলের উপর জননভাব যে সকল ঘটনা ও অবস্থাদি আনিয়া উপস্থিত করে, নিত্যভাব বস্তুতঃ তাহার অধীন নহে ; এই কথায় হিন্দু তত্ত্ববিদ্যার একটা কথা মনে পড়িল। হিন্দুতত্ত্ববিদেরা বলিয়া থাকেন যে, জীবরূপে যে সকল জন্মমরণ ও সুখদুঃখাদি ঘটনা ও অবস্থাদি উপস্থিত হয়। জীবের আত্মা যদিও তাহার কারণ ও নিমিত্ত বটে, কিন্তু তথাপি তাহা তখনও শুদ্ধ বুদ্ধ ও মুক্ত অবস্থায় অবস্থানপূর্বক প্রকৃত কিছুতে লিপ্ত হয় না। মনে কর, বহু নক্ষত্ররাজির মধ্যে একটি নক্ষত্রের প্রতিবিম্ব জলে পতিত হইয়াছে। নক্ষত্রটি যদিও তখনও আকাশে
