বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ミ マ গ্রীক ও হিন্দু। আপনাপন প্রভূত্ব স্থাপনের স্বত্রপাত করিলেন। নানা ঘটনাযুক্ত ও নানা অবস্থাসস্কুল বিভিন্ন পথাতিক্রম জন্য উভয় জাতির মধ্যে যে কিছু বিভিন্নত উৎপন্ন হইয়াছিল তাহ ভিন্ন, ছাড়াছাড়ি হইয়া দূরাস্তরে পতিত হইলেও, বৃত্তি এবং প্রকৃতি এ দুয়ের একতাপক্ষে, এখনও উভয়জাতির মধ্যে বিশেষ ব্যত্যয় ঘটিয়া উঠে নাই বলিতে হইবে । কিন্তু এ একতাটুকুও আর অধিকক্ষণ থাকে না । স্ব স্ব বিভিন্ন কৰ্ম্মক্ষেত্রে ইহীদের প্রবেশ আরম্ভ হইল । হিন্দু এবং গ্রীক, এতদুভয় জাতি যৎকালে স্বদেশ পরিত্যাগপূৰ্ব্বক স্ব স্ব গন্তব্য এবং অধিকৃত দেশদ্বয়ে পদার্পণ করিয়াছিল, সেই সময়ে, সেই দুৰ্বতম স্মৃতির বহিভূত ইতিহাসের অনুদয় সময়ে, সমস্ত জগং ঘোর মূর্খতা-অন্ধকারে আচ্ছন্ন ছিল। পাশ্বস্থ মানব সমস্ত তখন একরূপ পাশববৃত্তি অবলম্বন করিয়া বনে বনে, গিরিগহবরে, সমুদ্রবেলায়, ক্ষুদ্ধচিত্তে আহারলালসায়, যদৃস্থা বিচরণ করিয়া বেড়াইত। মিসর এবং ফিনিকীয় সভ্যতার স্তিমিতালোক তখন ও প্ৰজলিত হইয়াছিল কি না বলিতে পারি না। যদি হইয়া থাকে, তবে তাহা, বোধ হয়, তত্তং দেশমধ্যে আবদ্ধ এবং দেশবহির্ভাগের যে কোন বিষয়ের সহিত সম্পূর্ণভাবে সম্পর্কবিরহিত ছিল। সুতরাং হিন্দু এবং গ্রীক উভয়জাতিই, স্বীয় স্বীয় গন্তব্য পথে, সহচর, সহায় বা পরিচালক বন্ধু অথবা প্রতিকূলক্রিয়া-উৎপাদক শক্ৰ স্বরূপ, দ্বিতীয় কাহাকে প্রাপ্ত হয়েন নাই । স্ব স্ব দিকস্থ এই দীর্ঘ পথ বোধ হয় ইহারা, একমাত্র ক্ষণিক নিরাশ্রমী জাতীয় সংস্রর ভিন্ন, একাকী অতিবাহন করিয়াছিলেন। যে শৈশব, যৌবন ও জরা মানবীয় ব্যক্তিগত জীবনে, বা বিশ্বস্থ তাবৎ পদার্থ সম্বন্ধে নিত্য নিরন্তর অভিনীত ; মানবীয় জাতীয়