বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/২৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ "প্রস্তাব । چb۹ ب সেই উপলক্ষে দেবনাম সৰ্ব্বদা মুখে উচ্চারিত হইতে পারে ; তৃতীয় ভজন। ভজন তিন প্রকার, কায়িক, বাচিক ও মানসিক । কায়িক ভজন আবার ত্রিবিধ, দান, পরিত্রাণ ও পরিরক্ষণ। বাচিক চারি প্রকার, সত্য, হিত, প্রিয় ও স্বাধ্যায়। মানসিক ভজনও তিন প্রকার, দয়া, স্পৃহা ও শ্রদ্ধা । এক্ষণে উভয়জাতীয় তত্ত্ববিদ্যা, স্ব স্ব প্রকৃতিভেদে, উভয়জাতীয় প্রকৃতিতে কিরূপ ফলের উৎপাদন করিয়াছে, তাহা একটু বিবেচনা করিয়া দেখা যাউক। সে সাধারণ-হিতচিন্তায় গ্রীক আত্ম বা আত্মপুত্র বলি দিতে প্রস্তুত এবং ষে সাংসারিক স্বচ্ছন্দতার চিন্তায় গ্রীক মনীষাশক্তি পৰ্য্যবসিত হইয়াছে ; হিন্দুপ্রকৃতিতে সে সকল তদ্রুপ আকারে দেখিতে পাওয়া যায় না । সাধারণ-হিতচিস্তা বা পরহিতসাধন, হিন্দুর একটি মুখ্যত্রত সত্য, কিন্তু সে পরিহিতব্ৰত জাতীয় আকার o ধারণ করিয়াছিল অতি অল্পই। হিন্দু ব্যক্তিবিশেষের হিতচেষ্টায় যথেষ্ট আগ্রহবান বটে, কিন্তু জাতীয় হিত লইয়া যথায় কথা, তথায় তাহাকে উদাসীন বলিলে অত্যুক্তি হয় না। গ্রীকের সাংসারিক স্বচ্ছন্ত,-বাসনার অতিশয় পূরণ, ইন্দ্রিয়সুখের আতিশয্য প্রাপ্তি, অথবা এক কথায় ভোগবিলাসিনী বৃত্তিনিচয়ের অতিশয় ফুৰ্ত্তিতে। হিন্দুও সাংসারিক স্বচ্ছন্দত কামনা না করিতেন এমন নহে,কিন্তু র্তাহার সে স্বচ্ছন্দতা অন্তরূপ ; বৃত্তি সকলের সংযম দ্বারা তাহ সাধ্য। উক্ত বিষয় দুইটির জাতিদ্বয়ভেদে এরূপ প্রকৃতিভেদহেতু কাৰ্য্যমূলও তাহাদের উভয়েতে স্বতন্ত্র বলিয়া দৃষ্ট হয় ; হিন্দু মোক্ষ বা পারলৌকিক মুখপ্রার্থী এবং সাধনা তাহার স্বতন্ত্র বা এককভাবে ; আর গ্রীক ইহলৌকিক সুখপ্রার্থী এবং সাধনা তাহার সম্মিলিত বা জাতীয় ভাবে। হিন্দু মোক্ষপথে ঘোর স্বার্থবান, একক, অনাসঙ্গ, এমন কি আপন