বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sసెఅ গ্রীক ও হিন্দু । , সীমায় আসিয়া উপনীত হইয়াছে ! এখন হইতে কি তবে এ চিত্রের পরিবর্তনের আশা করা যাইতে পারে না ? ভারতীয় তত্ত্ব এবং ধৰ্ম্মবিদ্যায় যে মায়াবাদ ও অদৃষ্টবাদ ঘোষিত হইয়াছে, তাহা অতি উন্নত ও পবিত্র তত্ত্ব। মায়াবাদ পরমেশ্বরের শক্তিলীলা এবং অদৃষ্টবাদ পুরুষকার ও কৰ্ম্মের উত্তর পরিণতি। এ মায়াবাদ এবং অদৃষ্টবাদ সম্যক হৃদয়ঙ্গম করিতে পারিলে, মায়াবাদে ধাৰ্ম্মিকতা এবং অদৃষ্টবাদে পুরুষকারের বৃদ্ধি করিয়া থাকে ; কিন্ত ভারতের পোড়া ভাগ্যে ফল ফলিয়াছে উহার বিপরীত। মায়াবাদ এবং অদৃষ্টবাদ উভয়ই অতি প্রাচীনতত্ত্ব ; বেদে উহা উল্লিখিত, উপনিষৎকৰ্ত্তাদিগের দ্বারা স্থাপিত এবং দর্শনকৰ্ত্তাগণের দ্বারা উহা মীমাংসিত হইয়াছে । পরবর্তী ধৰ্ম্মগ্রন্থসমূহ, যথা পুরাণাদি, সেই দার্শনিক মীমাংসাসমূহের রূপক লইয়া প্রায় অধিকাংশ পরিমাণে গ্রথিত । এক্ষণে সমাজমধ্যে এই পুরাণাদি অভিনব শাস্ত্রগ্রন্থসমূহের আধিপত্যই সৰ্ব্বেসৰ্ব্বা; সুতরাং জ্ঞানী হইতে অজ্ঞান পৰ্য্যন্ত সৰ্ব্বত্র মায়াবাদ এবং অদৃষ্টবাদের কথা কিছু না কিছু চালাচালি হইয়া গিয়াচ্ছে। বিষয় দুইটি যেমন উচ্চ, তেমনি যদি উচ্চশ্রেণীস্থ জ্ঞানীদিগের মধ্যে কেবল উহা আবদ্ধ থাকিত, তাহা হইলে আর কোন ক্ষতিই ছিল না । কিন্তু দারুণ অজ্ঞানী পৰ্য্যন্তে উহা চালিত হওয়ায়, সৰ্ব্বনাশের সুত্ররূপে পরিণত হইয়া গিয়াছে। যে যেরূপ জ্ঞানপৰ্য্যায়ের লোক, তাহাকে তদপেক্ষা উচ্চতত্ত্ব দিলে, সে তাহার বিকৃতিসাধন পূৰ্ব্বক আপন সমতায় না আনিয়া ক্ষান্ত হয় না। মায়াবাদ ও অদৃষ্টবাদসম্বন্ধেও সেই দশা ঘটয়াছে। যে অপরমুখীন তত্ত্বগ্রন্থি, মায়াবাদ ও অদৃষ্টবাদ ছন্ন এবং বিকৃতিবিশিষ্ট হইলেও, বহু পরিমাণে তাঁহাদের সমতা সাধনে সমর্থ হইত, তাহা ইহাদের কাছে একেবারে শূন্ত । অতএব একে ইহাদের মায়াবাদ ও অদৃষ্টবাদ ছন্ন ও বিকৃত, তাহাতে আবার