বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩০৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

૭-૨ dौक *3 হিন্দু । থাকিত না । অহঙ্কারপূর্ণ ও আত্মসম্বন্ধস্থত্রে পদার্থভ্রষ্ট ভ্রান্ত তত্ত্বদশীমাত্রে ঐরূপ ভাবিয়া থাকে, এবং উহারই কল্যাণে নানাবিধ মোহজাল বিস্তার করিয়া আপন আপনি তাঁহাতে আবদ্ধ হয় । ভাল, এখন জিজ্ঞাস্য, উহারা যদি ছিল না এবং পরেও যদি না থাকে, তবে তুমি যখন নিঃসহায়, নিরুপায়, শক্তি-সঞ্চালন-বিমুঢ়, বিবেকশূন্ত এই কৰ্ম্মক্ষেত্রে আসিয়াছিলে, তখন তোমার অবলম্বন কি হইয়াছিল ? এবং যখন আবার যাইবে, তখনই বা তোমার অবলম্বন কি হইবে ? কাৰ্য্যমাত্রের পক্ষে কারণ যেমন অচ্ছেদ্য বা অপরিহার্য্য, অস্তিত্ব বা উৎপত্তি বা ক্ষয়াদির পক্ষে অবলম্বন পদার্থও সেইরূপ অপরিহার্য্য জানিবে ! এই অবলম্বন পদার্থের মধ্যবৰ্ত্তিতা হেতুই, জীব ও মানবের বৈরাজতত্ত্ব সহ যে মহৎ সম্বন্ধ, তাহার সঞ্চার হইয়া থাকে। অতএব তুমি থাক বা না থাক, উহার ছিল এবং থাকিবেও। ভাল, তুমিই কেন না ছিলে, বা থাকিবে না ? তবে থাকিবে না কি ?—রুপবৈচিত্র-আয়ত্তক তোমার প্রদত্ত সংজ্ঞা । এই সংজ্ঞানায়ক শক্তিই, তুমি মহাবিরাটের অংশ হইলেও, তোমাকে তাহা হইতে পৃথক্ করিয়া রাখিয়াছে ; উহার প্রভাবে তুমি অন্ত সকল হইতে আপনাকে পৃথক্ বলিয়া ভাবিতেছে ; উহার প্রভাবে তুমি বিশ্বের যাবতীয় বস্তুর যাবতীয় বিষয়ে মানদণ্ডরূপে আপনাকে কল্পনা করিতেছ এবং যেন সেই সকল প্রাগলভ কৰ্ম্মের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপেই, সেই সংজ্ঞাদায়ক শক্তিবশে আবার স্ববুদ্ধি-নিরূপিত সুখদুঃখাভিঘাতে মুহমান এবং পরিমেয় বস্তুর ভাব সকলের দ্বারা ভাবান্তর প্রাপ্ত হইতেছ। এখন একবার তোমর সঙ্গে সম্বন্ধ বিচ্ছেদ করিয়া দেখ, বহিঃপ্রকৃতি ব৷ বাহ জগং বস্তুতঃ কিরূপ দাড়াইয়াই থাকে। এখন যদি