পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*い○> ケ* গ্রীক ও হিন্দু। জন্ম হইতে মৃত্যু পৰ্য্যস্ত, কায়িক বাচিক ও মানসিক এই ত্রিবিধ দ্বার দিয়া যাহা কিছু কৰ্ম্ম আচরণ করিবে, তাহা সমস্তই অগ্রে বিধাতা কর্তৃক স্থিরীকৃত হইয়া রহিয়াছে এবং তাহার বিরুদ্ধে ষে কিছু যত্ন ও চেষ্টা সে সমস্তই বিফল, যেহেতু মানুষের সাধ্য নাই ষে এক পদও তাহার অন্যথায় অগ্রসর হইতে পারে। এমন স্থলে মানুষের যে কিছু উদ্যম ও অধ্যবসায়, তাহা অধিকন্তু ও পণ্ডশ্রমাত্র ; অতএব এ অদৃষ্টবাদ পুরুষকারকে একেবারেই নষ্ট করিয়া, মানুষকে জড়পদার্থ-স্বরূপে পরিণত করিয়া থাকে। এরূপ অদৃষ্টবাদীরা স্বেচ্ছাশক্তির অস্তিত্ব, তাহার চালনা ও তজ্জনিত ফলাফল, বড় একটা বুঝে না ; জড় পদার্থের কলে ঘুরিয়া বেড়ানর ন্যায়, মানবকে অদৃষ্ট হস্তে ক্রীড়াপুতুলের স্বরূপ বিবেচনা করিয়া, অকৰ্ম্মশীলতায় মাটি হয়। *যহি অদৃষ্টে আছে তাঁহাই হইবে।” এ বড় সৰ্ব্বনাশকর বিশ্বাস । কেন না মানব ইহার প্রভাবে অকৰ্ম্ম হইয়া অধ:পাতের পথে অগ্রসর হইবে বাঞ্ছারাম, এরূপ অদৃষ্টকে আমরাও সত্য সত্য পূজা করিতাম, যদি দেণিতে পাইতাম যে মানবীয় স্বেচ্ছাশক্তি সৰ্ব্বসময়েই, প্রাকৃতিক শক্তি হইতে অন্তথা গমন বা তাহা হইতে পিছু হটন বা তদগ্রগমনে অসমর্থ ; অথবা সৰ্ব্বদাই যদি যথাচালিতরূপে প্রাকৃতিক শক্তির অনুসরণ করিয়া ফিরিত। কিন্তু আমরা দেখিতেছি, তাহ করে না । এ বিশ্বে আমরা শক্তির কেবল এই দ্বিবিধ মাত্র বিভাগ দেখিতে পাই, এক প্রাকৃতিক শক্তি, অপর স্বেচ্ছাশক্তি ; ইহা ব্যতীত আর তৃতীয় শক্তিবিভাগ নাই। সুতরাং তুমি যাহাকে অদৃষ্টশক্তি বলিয়া থাক, তাহা হয় এই দুইয়ের একতরকে বুঝাইয়া থাকে, নতুবা তাহ কিছুই বুঝায় না। এক্ষণে প্রাকৃতিক শক্তি ও স্বেচ্ছাশক্তির সম্বন্ধ