পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\రి తి গ্রীক ও হিন্দু। ভিন্ন অন্ত কিছুই নহে ভাল, এখন দেখা হউক, তোমার এ কথ} কতদূর সসার বা তদন্ততর। কাষ্ঠে প্রস্তর সংঘর্ষে অগ্নির উৎপত্তি হইল ; অগ্নির প্রকৃত উৎপাদক কে ? আমরা জানি যে, প্রস্তর বা তদীয় সংঘর্ষ, এ দুয়ের কেহই তাহার প্রকৃত উৎপাদক নহে। কাষ্ঠের স্বধৰ্ম্মবশে তাহাতে যে স্বৰ্য্যতেজ নিহিত হইয়া থাকে, তাঁহাই অগ্নিরূপে প্রকাশিত হয়। তদ্রুপ অগ্নিবং উপমেয় মানবের স্বেচ্ছাশক্তি যাহা, জাগতিক ভাব বা ভাবোখ উত্তেজনাকে তাহার উৎপাদক বলা যায় না। স্বেচ্ছার উদ্দীপনে এবং প্রকাশনে উত্তেজক জাগতিক ভাব সকল কেবল নমিত্ত স্বরূপ হইয়া থাকে ; নতুবা স্বেচ্ছ পদার্থের আদি মূল যাহা, তাহা সে সকল হইতে অনেক দূরে । স্বেচ্ছাশক্তি মানবের স্বীয় স্বভাবান্তর্গত বিষয় ; বহির্বিষয়ের ভাবোখ উত্তেজনায় তাহা উদ্দীপিত অবশ্যই যথেষ্ট পরিমাণে হয় বটে, কিন্তু সে উদ্দীপিত স্বেচ্ছাকে শমতাকরণ শক্তিও ত অল্পবিস্তর প্রায় সকল মানুষেতেই প্রত্যক্ষীভূত হইয়া থাকে। আরও দেখ, ইচ্ছ। উদ্দীপিত হইবামাত্র এবং তাহার পোষক উপকরণরীশি সন্মুখে পাইলেও, মানব কলচালিতের ন্তায় তাহাতে কাৰ্য্যপ্রবৃত্ত না হইয়া, অগ্রে তদ্বিষয়িণী স্তায়ান্তায় ও হিতাহিতের কথা বিবেচনা করিয়া থাকে। সেই হিতাহিত বিবেচনা ও তাহার জন্য যে কালব্যাজ, তাহাই স্বেচ্ছার স্বাধীনতা পক্ষে একটি বিশিষ্ট পরিচায়ক বলিয়া জানিও । স্বেচ্ছ সমগ্রত পরপ্রভাবোৎপন্ন ও পরপেক্ষী হইলে, সেরূপ কখনও হইতে পারিত না । এই স্মৃষ্টিতে মানবের নিজের যুগপৎ স্বাধীন-পরাধীন ভাব হেতু, তাহার স্বেচ্ছশক্তিও সুতরাং তদ্রুপ অবস্থা প্রাপ্ত হইয়ছে। জাগতিক ভাবে