বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । `నా সংসাধন জন্ত, প্রদত্ত শক্তির সম্যক সঞ্চালনে বিমুখ হওয়া আমাদের কৰ্ত্তব্য নহে ; কারণ তাহা হইলে ব্যতিক্রম হেতু আত্মিক অসতের সঞ্চার বা পাপের আবির্ভাব হইয়া থাকে। আলোক হইতে অন্ধকার ছাড়াইবার সাধ্য নাই। স্বৰ্য্যের অীলোকে এবং প্রদীপের আলোকে তফাৎ কেন, যেহেতু প্রদীপের আলোকে অধিক পরিমাণে অন্ধকার মিশ্রিত থাকায়, তাহা স্বৰ্য্যালোক অপেক্ষ মলিন। এখন জিজ্ঞাসা করি, আলোক প্রাপ্তিই যথায় উদ্দেশু, তথায় ঔদাস্ত বশতঃ যদি আলোকে আরও অপরিমিত অন্ধযার মিশিতে দেওয়া যায়, তাহা হইলে কি সে আলোকের শ্ৰীবৰ্দ্ধন বা তদ্বারা উদ্দেশু সাধন হইয়া থাকে ? যদি তাঁহা না হয়, তবে এখন কৰ্ত্তব্য এই ষে, আলোক হক্টতে অন্ধকার যথাসম্ভব বিচ্ছিন্ন করিয়া, যথাসাধ্য সেই আলোকের উজ্জলতা বৃদ্ধি করা। এতদৰ্থে দুইট পরিমাণের আবশুক। প্রথম কোন পরিমাণে অন্ধকার বিচ্ছিন্ন হইলে আলোক আকাঙ্ক্ষানুরূপ পরিচ্ছিন্ন হইতে পারে, তাহার আদর্শ ; অপর যখন অলোক এবং অন্ধকার অবিচ্ছিন্ন, তখন কত পরিমাণে তাহাকে বিচ্ছিন্ন করিতে চেষ্টা করিব বা না করিব বা করিতে পারি, তাহার সীমাবধারণ। আদর্শমাত্রে তত্ব এবং কাব্যের বিষয়ীভূত পদার্থ ; আদর্শ সম্মুখে রাখিয়া, সতের পরিবর্ধন হেতু তন্মুখে প্রধাবিত হইব ; এবং অসতের দূরীকরণে, প্রকৃতি আমাদিগকে যতদূর যাইতে দেয়, ততদুর যাইব । মানব স্বাধীন ও স্বেচ্ছাপূর্ণ হইলেও সে মহাপ্রকৃতির অঙ্কশায়ী, সুতরাং এখানেও সে প্রকৃতির শাসনবহিভূত নহে ;—মানবকে স্বাধীনতা দিয়াছেন বলিয়া প্রকৃতি একেবারে তাহাদের সম্বন্ধে কাৰ্য্যবিরত ও ছিন্নসম্বন্ধ হয়েন নাই ; সুতরাং