বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

‘Lදාදී গ্রীক ও হিন্দু । পুনঃ একই হস্তে কোটিবার প্রসাবিত হইলেও, কোটি পরিমাণে তাঁহাতে আকার ও প্রকারগত বিভিন্নতা লক্ষিত হয়। এক এবং অসংখ্য পৰ্ব্ব পৰ্য্যায় ও শ্রেণীতে অসংখ্য পদার্থ নিত্য উৎপাদিত হইতেছে , অথচ সকলেই অসংখ্য রকমের পৃথকৃ পৃথক, কেহ তাহার মধ্যে কাহারও সঙ্গে একীকৃতি ও এক প্রকৃতি নহে। তবু যে আমরা অনন্ত ধূপ্তে এখানে সেখানে সসীমতা দেঘিয়া থাকি, সে সীমা অনন্তত্বের সঙ্কোচ জন্ত নহে ; তাহা ;আমাদের যথা আবশ্যক ধারণা ও অবলম্বনের সৌকর্ষ্যার্থ আমরাই দিয়া থাকি ; নতুবা মুছিয়া ফেল মানদণ্ডস্বরূপ তোমার চন্দ্র স্বৰ্য্য ও তারকানিকর, এখনই দেখিবে তোমার এক মুহূৰ্ত্ত ও শত বৎসর সমান হইয়া গিয়াছে। অতএব অনন্তের মহিমা এবং তাহার অপার রচনা ও বিসারণ-শক্তি কি অভাবনীয়, কি অচিন্তনীয় ! পুনঃ ইহা কেবল একদেশব্যাপিনী নহে। উদ্ধ, অধঃ, পাশ্ব, সৰ্ব্ব দিকে এবং ভূত ভবিষ্যৎ বৰ্ত্তমান সৰ্ব্বকালে সমান অভিনীত। তুমি কি মনে করিয়াছ যে, তোমার অস্তময় তর্করঞ্জতে সেই অনন্তরাশি বাধিয়া আপন আয়ত্তে আনিবে ? ভ্রান্ত, এ অসম্ভবে সম্ভববুদ্ধি তোমাকে কে দিয়াছে ? তোমার চারিদিকে নিবিড় অনন্তরাশি বিস্তৃত, চারিদিকে তোমার নিবিড় অন্ধকারময় গৃঢ়গুহ পরিবেষ্টন করিয়া অনন্তের রত্নভাণ্ডারকে আবৃত করিয়া রাথিয়াছে ; মধ্যস্থলে জীবিকাহেতু সেই রত্নপ্রার্থী তুমি এবং চৈতন্তরূপিণী বিন্দুমাত্র আলোককণা তোমার আধার আধেয়ত্ব প্রদর্শিত ও প্রতিবুদ্ধ করাইয। থাকে । সেই কণামাত্র আলোকে কণামাত্র স্থান আলোকিত দেখিতে পাইয়া ভ্রান্ত মনে ভাবিতেছ, সকল পদার্থই তাঁহাতে পরিচিত এবং পরিসীমা প্রাপ্ত হইয়াছে ; হাত বাড়াইলেই তাহা আয়ত্ত করিতে সমর্থ হও! তুমি ক্রমাগত তর্কস্বত্র প্রসব করিয়া, কিন্তু কেবল