বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లాOళి গ্রীক ও হিন্দু । শক্তি নাই ; তখন এই স্বস্ট্যতীত সূক্ষ্ম বা অশরীরী এবং অনন্তস্বরূপ স্বইপতিকে কেমন করিয়া দৃষ্ট এবং আয়ত্তগত করিতে সাহসী হও ? শরীরী, শরীরী পদার্থই কত কত যখন দেখিতে পায় না, তখন আর স্বাক্ষ অশরীরী পদার্থের কথা কেন বল ? কৈ, মানব অপেক্ষাকৃত সুক্ষশরীর গ্যাস দেখিতে পায় না ত, অনুভব করিতেও পারে না ; কেবল কাৰ্য্য বা ফল দৃষ্টে বুঝিতে পারে যে, এইটি এই গ্যাস । ভাল কথা, কাৰ্য্যদুষ্টে গ্যাসের অস্তিত্ব অনুভব করিতে পার এবং তাহার সম্বন্ধে ইহাও মনে উদয় হয় যে, হয় ত ইহার ভিতর আরও কত কি গৃঢ় তত্ত্ব নিহিত আছে ; কিন্তু কাৰ্য্যদৃষ্টি ঈশ্বরের অস্তিত্ব তবে অনুভব করিতে না পার কেন ? এবং যে স্থানে অপার গৃঢ় তত্ত্ব নিহিত বলিয়া মনে সন্দেহ হয়, এখানে সে স্থানে নাস্তিকতার উপস্থিতি করিয়া থাকই বা কি জন্ত ? একটা স্থঃ বস্তু সম্বন্ধে মনকে বুঝাইতে পার, কিন্তু স্থষ্টিকৰ্ত্ত সম্বন্ধে মনকে বুঝাইতে পার না ? গ্যাসের কার্য্য কেবল রাসায়নিক ক্রিয়াযোগে দৃষ্ট, কিন্তু ঈশ্বরের কাৰ্য্য অবিচ্ছিন্ন প্রতিনিয়ত প্রত্যক্ষবৎ ; তথাপি সেই ঈশ্বরের নাম হইলেই, তমনি সেখানে ঘটপট, ষত্বণত্ব, তর্কতরঙ্গের বাক নামাইয়া —তাই বলি তোমা অপেক্ষা আরও মুর্থ কোথায় ! গ্যাসের সত্তা আর ঐশ্বরিক সত্তা, এতদুভয়ের উপলব্ধিতে তোমার চিত্তক্রিয়ায় এতই বিভিন্ন ভাবান্তর ও তাহার এতই বিভিন্ন ফল দৃষ্ট হয় কি জন্ত ? সাক্ষাৎ সম্বন্ধে সাংসারিক লাভালাভ খতনেই কি তাহার প্রধান কারণ ? অবশ্য সে পক্ষে উভয় উভয়তঃ প্রভেদ অনেক এবং একটা প্রধান প্রভেদ এই দেখিতে পাই যে, গ্যাসের সত্তাকে ইচ্ছামত খাটাইতে পার, আর ঐশ্বরিক সত্তাকে তাহ পার না। কিন্তু চাকর কি কখনও মুনিবকে খাটাইতে পারে ? তাহা যদি না পারে, তাহা