বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\Oఆ9 গ্রীক ও হিন্দু। “জ্ঞানী ব্যক্তি যাহারা, তাহারা প্রায়ই সৌভাগ্য দ্বারা তিরস্কৃত হইয়া থাকে; কিন্তু তাঁহাদের মনীষাশক্তি তাহাদিগকে যে শ্রেষ্ঠ ও উৎকৃষ্ট রত্ন সকল নিয়ত প্রাদান করে, তাঁহাই তাহারা সৰ্ব্বদা সম্ভোগ করে এবং আজীবন করিতে থাকিবে । “যে ব্যক্তি দ্যায়পথগামী, সে সৰ্ব্বত্রই স্বাধীন এবং সে সৰ্ব্বদাই সৰ্ব্বলোক সমক্ষে শান্তি ভোগ করিয়া থাকে। অন্যায়কারী যে, সৰ্ব্বদাই সে তদ্বিপরীত ভাবের নিকট শঙ্কিত হয়। * “আমরা যুক্তিশক্তির সহায়তায় শরীরের পরিণাম এবং ধ্বংস সম্বন্ধে তত্ত্ব মুনির্ণয়পুৰ্ব্বক যদি পরলোক বা অনন্ত সম্বন্ধী ভীতি হইতে ত্ৰাণ পাই এবং পরলোক সম্বন্ধী কল্পনা হইতে যদি একেবারেই মুক্ত হইতে পারি, তাহা হইলে এই জীবন সকল প্রকার মুখামুভব ও মুখপদার্থের সংগ্রহে পারক হইতে পারে। মনের ভাৰ এইরূপ অর্থাৎ ভয়শূন্ত করিতে পারিলে, নানাকারণজাত ক্লেশ সকল জীবনের ক্ষয়কারিরূপে যন্ত্রণাদায়ক হইলেও, মানব তাহার মধ্যে সুখী হইতে পারে ; এবং এরূণ অবস্থায় যে মৃত্যু, তাহা কেবল মুখ-জীবনের সীমাপ্রাপ্তি বা সৰ্ব্বন্ধঃখের নিবৃত্তি ভিন্ন অন্ত কিছুই নহে । “ ‘স্তায় ভাবের বস্তুতঃ কোন অস্তিত্ব নাই ; উহা পরস্পর লৌকিক অঙ্গীকার হইতে উৎপন্ন হয়, এবং পরস্পর পরস্পরের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত বা ক্লেশবিদ্ধ হইতে না পারে এরূপ অর্থেই উহার সংঘটন হইয়া থাকে। “অষ্ঠায়” ভাব বস্তুতঃ মন্দ নহে ; তবে ইহা মন্দ এই জন্ত যে ইহার সঙ্গে এরূপ ভয় সংযোজিত আছে যে, যাহারা অস্কায় নিবারণে ও শাস্তিরক্ষণে নিয়োজিত, তাহাদের দ্বারা ধৃত হওয়া ও শাস্তি পাওয়ার দায় হইতে পলাইবার সম্ভাবনা নাই।