বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । లిyలి মধ্যে স্বার্থের অস্তিত্ব না থাকায়, কোন অনিষ্ট হইতে পরিবে না ; এবং সৰ্ব্বদাই তথায় শান্তি বিরাজ করিতে থাকিবে । বাঞ্ছারাম, মানুষ কি অদ্ভুত জন্তু ! এমন ফন্দিই নাই যে বাহির করিতে না পারে, এমন কাজই নাই যে যাহাতে পিছু-পা হয়। মনুষ্যহৃদয়ে স্বর্গ নরক উভয়েরই সমান রাজত্ব। সাম্যবাদীরা জানে না যে, যে প্রকৃতিকে আশ্রয় করিয়া তাহারা সাম্যবাদের ঘোষণা করিয়া থাকে, সে প্রকৃতি স্বয়ং অসাম্যবাদী ; তাহার তুল্য অসাম্যবাদী আর দ্বিতীয় নাই ! কি আধ্যাত্মিক, কি আধিভৌতিক, কি আধিদৈবিক, সৰ্ব্বত্র এবং সৰ্ব্বসময়ে তাহার অসাম্যবাদ সমান দুরন্ত ! বাঞ্ছারাম, সাম্যবাদীদের সাম্যবাদ স্বপ্ন ; অসাম্যবাদের অতিরেক ভাব দুষ্য ; অসাম্যবাদের সমতা বা পরিমিত ভাব এ জগতের প্রকৃত মঙ্গলদায়ী হয়। গ্রীকতত্ত্ববিদদিগের মধ্যে আরিষ্টটল সৰ্ব্বাপেক্ষ সমতাবাদী। ইহার তত্ত্বগুলিও, যাহা যাহা প্রকৃত পক্ষে কাজে লাগিতে পারে, এবং হাওয়ায় দড়ি না দিয়া উপস্থিত বিষয়কে কিরূপে সংস্কার কার্য্যে লাগাইতে পারা যায়, তদৰ্থে সন্ধুপদেশ-দায়ক। আরিষ্টটলের শিক্ষা এই যে (২), যে কোন বিষয় হউক, তাহার সৎ-ভাব অসৎ-ভাব, এ উভয় দিকের অতিভাব পরিত্যাগ করিয়া, সেই উভয়ের মাঝামাঝি যাহা, তাঁহাই বুদ্ধিমানেরা গ্রহণ করিয়া থাকেন ; যেমন সাহস,—ভয় ও কাপুরুষের স্তায় ভীরুতা এবং দিগ্বিদিকশূন্য উগ্রতা, এতদুভয়ের মাঝামাঝি যাহ, তাহাই প্রকৃত সাহস । সেইরূপ মিতাচার,—অপরিমিতাচার এবং শুষ্ঠাচার এতদুভয়ের মধ্যবৰ্ত্তী যাহা, তাহা মিতাচার। অর্থ সম্বন্ধে, কৃপণতা এবং মুক্তহস্ততা ইহার মধ্যবৰ্ত্তী যাহা, তাহা দাতৃত্ব । নীচ ও বিনতচিত্ত এবং আত্মগরিমা,ইহার মধ্যবৰ্ত্তী যাহা,তাহা মহানুভাবকত। –तज्ञताज्ञ–