বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৩৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চতুর্থ প্রস্তাব । NOợ (t জগতের উপকারে লাগিয়াছে, এরূপ আর কেহ লাগে নাই ; এবং সমগ্র বিবেচনা করিয়া দেখিলে, আরিষ্টটলকেই গ্রীকতত্ত্ব-বিদ্বর্গের চূড়ামণি বলিলে বলা যায়। যাহা হউক, আমাদের বাঞ্ছারামকে অতঃপর আর অধিক সংগ্ৰহ বা উদ্ধৃত করিয়া বিরক্ত করিব না। গ্রীকের যে বন্ধনশৃঙ্গভাবে সামাজিকতার দিকে কতদূর পর্যন্ত দৌড়াইতে প্রস্তুত ছিল, তাহ প্লেটোর সামাজিক তত্ত্ব হইতেই প্রতিপন্ন হইতে পরিবে । গ্রীকতত্ত্ববিংদিগের মধ্যে প্রায় সকলেই সমাজ-তত্ত্ব লইয়া কিছু না কিছু লিথিয়া গিয়াছেন । সে সকলের এখানে আর উল্লেখের প্রয়োজন নাই । এক্ষণে ফলের প্রতি দৃষ্টি করিলে দেখা যাইবে যে, হিন্দুরা যেমন একমাত্র রাজার উপর সকল বিষয়ের বরাত দিয়া, নির্ভাবনায় ও অনুত্তেজিত ভাবে ঘরে বসিয়া, গৃহমুখ ভোগ করিত ; গ্রীকদিগের মধ্যে তেমন নহে। ইহারা সকলেই, চৰ্ম্মকার হইতে রাজ্যেশ্বর পর্য্যন্ত, পূর্ণমাত্রায় রাজনীতিক বিগ্রহে মাতিয়া, সমাজকে উত্তেজিত, এবং শাসনকৰ্ত্ত বা রাজন্তবর্গকে বিকম্পিত ও বিশোধিত করিয়া ফিরিত। গ্রীক ইতিহাসের চাকচিক্য এবং উপকারিতাও তাঁহাদের এই গুণ হইতে উৎপন্ন হইয়াছে । ইতি চতুর্থ প্রস্তাব । 을(: