পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

S) 8 গ্রীক ও হিন্দু। বাহনকালীন বিভিন্ন ভাবের সহ সংস্রবে ও সেই ভাব সকলের আতিশয্যে যতই তাহার আত্মগোপিত হউক ; আর আমরা তাহ দেখিতে পাই বা না পাই ; কিন্তু যখন আয়োজন পূর্ণ হইবে এবং যখন উপযুক্ত কালের সুবিধা পাইবে, তখন তাহা তোমাতে গুণবিক্ষোভ উপস্থিত করিয়া, তোমার দ্বারা যথাসম্ভব কাৰ্য্য করাইয়া লইবেই লইবে । উহা হইতেই মানবের ভাবময় ও বিষয়প্রাণ কাৰ্য্য সকলের উদয় হয় । পুনশ্চ, উক্ত আকর্ষণস্থত্র কোন এক ভাব বিশেষ উৎপাদন, অথবা আরও উদ্ধে সেই ভাবানুসারিণী কোন এক কাৰ্য্য বিশেষ সম্পাদন করাইলেই যে, তাহার কার্য্যকারিত ক্ষান্ত হইল, তাহা নহে ; প্রতি কাৰ্য্যস্থত্রেরই অনন্ত মুথে গতি, অনন্ত প্রবাহে অনন্ত কাৰ্য্য করাইতে অনন্ত মুখে চলিয়া যায়। এক কাৰ্য্যের বিরতি বী পূর্ণতা, আর এক কাৰ্য্যের আরম্ভ মাত্র এবং আজি যাহা কারণ, কালি তাহা কাৰ্য্যরূপে কৰ্ম্মাভ্যন্তরে সমাবিষ্ট ; তথাবিধ অবস্থায় পুনঃ প্রচ্ছন্নভাবে বা প্রতিপ্রসবে উত্তরকারণৈকরূপে পরিণত হইয়া, উত্তর কার্য্যের জনক স্বরূপ হয়। যে কোন কাৰ্য্যস্বত্র, এইরূপ নিত্য নব কাৰ্য্যকারণভাবত্বে, অনন্ত মুখে অবিরত চলিয়া যাইতে থাকে ; সুতরাং এখন বলা বাহুল্য যে, উত্তরোত্তর কার্য্য ও কারণসমূহের উদয়ে, পূর্ব পূৰ্ব্ব কাৰ্য্য ও কারণসমূহের ধ্বংস হইতেছে না ; কেবল ক্রিয়া-সংসারস্থ কাৰ্য্যকারণসমূহের উত্তরোত্তর বুদ্ধি ও সম্প্রসারণ হেতু, তাহা উত্তরোত্তর সার হইতে আরও সরিত্বে, সূক্ষ্ম হইতে আরও স্বক্ষতায় পরিণত হইয়া, উত্তর কার্য্যকারণ প্রবাহ সম্বন্ধে, ভূমিপ্রোথিত:গৃহভিত্তির ন্যায়, ভিত্তিভাবে মূলদেশে প্রোথিত হইয়া আদর্শন হইতেছে মাত্র। যাহা হউক, ক্ষুদ্র হইতে মহৎ, দৃষ্টপথে পতিত বাহাজগৎস্থ সমস্ত বিষয়েই, বাহজগৎ উক্ত চৌম্বকীয় গুণ হেতু