*中電 প্রস্তাৰ 8● দ্বারা সম্মানযুক্ত করবে। (৩৭) মন্থও ঐ কথা বলিয়া আরও বলিয়াছেন যে, যথায় বস্ত্ৰ অলঙ্কারাদি দ্বারা স্ত্রী পূজিত হয়েন, তথায় দেবতার প্রসন্ন থাকেন এবং যথায় তাহা না হইয়া স্ত্রীর অনাদর হয়, তথায় সকল ক্রিয়া নিষ্ফল হইয়া থাকে। অন্তান্ত ব্যবস্থাকারেরাও অল্প ইতরবিশেষে ঐ একই কথা বলিয়া গিয়াছেন। স্ত্রী মৃত হইলে স্ত্রীকে দত্ত ধন যে জামাতাকে ফেরত দিতে হয়, এ কথা তাঁহাদের মনেও কখন প্রবেশ করে নাই । কোন স্ত্রীর উপর কেহ বলাৎকার করিলে, সেরূপ স্থলে সোলন ব্যবস্থা করিয়াছেন,—যে স্ত্রী কথন দাসত্বে বিক্রয় হয় নাই, তাহাকে বলাৎকার করলে ১০e ড্রাম অর্থাৎ ৪০ly০ টাকা এবং ভুলাইয়া হরণ করিলে ২ • ড্রীম অর্থাৎ ৮ve টাকা, অপরাধীকে দণ্ড দিতে হইবে । মন্ত্র এরূপ ব্যভিচারস্থলে, ভিন্ন ভিন্ন জাতি বিচারে ভিন্ন ভিন্ন রূপ দও বিধান করিয়াছেন এবং সে সমস্ত দণ্ডই ইহা অপেক্ষ ঘোরতর কঠোরতাপূর্ণ। অকামা পরস্ত্রীগমনে লিঙ্গচ্ছেদনাদিরূপ বধদণ্ড ; সকামাগমনে বধদণ্ড হইবে না বটে, কিন্তু তৎপরিবর্তে বিবিধ প্রকার কঠোর শাস্তি বর্ণিত আছে । ব্যভিচারবিষয়ক শাস্তি সম্বন্ধে মনুর চূড়ান্ত বিধান, প্ৰজলিত লৌহময় শয্যায় শয়ন করাইয়া দাহ করা পৰ্য্যন্ত আছে। ময় যে কেন এখানে এত কঠোরতা অবলম্বন করিয়াছেন, তাহার কারণ মন্ত্রই বলিয়া গিয়াছেন,—“ব্যভিচার হেতু বর্ণসঙ্কর হয়, বর্ণপঙ্কর হইলে সকল ধৰ্ম্ম লোপ হইয়া উঠে। (৩৮) পুনশ্চ, পিতা পিতামহাদি পিতৃগণের পরলোকে পুত্রপিণ্ডের একান্ত প্রয়োজন ; কিন্তু পুত্র সান্ধৰ্য্যোৎপন্ন হইলে সে প্রয়োজন নিষ্ফল হইয়া ৩৭। সংহিতায় আচার অধ্যায়, ৮২ ৷ ৩৮। মমু ৮ ৩৫৩ ।
