পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

श्रृं६* @रडांव । 8రినీ এই সকল অপেক্ষ আর কি হাস্তাস্পদ অভিনীত্ত্বি সম্ভাবতে পারে ? অনেকের বিশ্বাস এবং অনেকে বলিয়া থাকে যে, উক্ত প্রায়শ্চিত্তবিধি প্রভৃতি যে সকল অতিনীতি, তাঁহাদের অধিকাংশই ব্রাহ্মণদিগের স্বার্থপরতা হইতে উৎপন্ন হইয়াছে। তাহাদের এই বিশ্বাস ও এরূপ বলার তুল্য, এমন মিথ্যা বিশ্বাস ও মিথ্যা বলা আর কিছুই হইতে পারে না। যাহারা জানে যে মিথ্যা, কৌশল্যও শঠতা অবলম্বন করিলেও সংসার নিৰ্ব্বিঘ্নে চলিতে পারে ; কেবল তাঁহাদিগেরই ওরূপ বিশ্বাস ও ওরূপ বলা সম্ভাবতে পারে। ঐ সকল অতিনীতি প্রায়ই ব্রাহ্মণদের নিজের জন্য এবং নিজেকে নিজে মারায় অনেক স্বাৰ্থ বটে ! সে যাহা হউক, মনুষ্যস্বভাব আলোচনা করিলে, ” নীতিগুলির সমস্তই যে অক্ষুন্নভাবে প্রতিপালিত হইয়াছিল, সে পক্ষে কিঞ্চিৎ সন্দেহ উপস্থিত হয় । সাধারণতঃ, সামাজিক ও রাজনীতিক বিধি দ্বিবিধ প্রকারে উৎপন্ন হয়। প্রথমতঃ, সাময়িক চলিত লোকপ্রকৃতি এবং আচার ও বিশ্বাস যাহা, তাহ বিধিবদ্ধ করিয়া তাহাদের স্থায়িত্বসাধন ; দ্বিতীয়তঃ, উপস্থিত সামাজিক রীতিনীতি ও বিধিব্যবস্থায় যথায় যথায় অপূর্ণতা ও হীনতা দৃষ্ট বা অনুমিত হইতেছে, তথায় তথায় লোকরুচিসহ সামঞ্জস্তাযুক্ত হইতে পারে এরূপ ভাবে, নববিধিযোগে অপূর্ণতার সংশোধন ও হীনতার পূরণ করিয়া দেওন। এই দ্বিপ্রকারের অন্যতর যে কোন বিধি বা উভয়ই সমাজের পরিচালক; এবং অল্প বা অধিক যে পরিমাণে হউক, সমাজের পক্ষে তাহারা মঙ্গলদায়ক হইয়া থাকে। এই দুই রকমের অতীতে আর একটি তৃতীয় রকম সামাজিক ব্যবস্থা আছে, যাহা দেশ কাল পাত্র কিছুরই অপেক্ষা রাখে না। "এরূপ হইলে ভাল হয়” কেবল এই বুদ্ধির উপর ভর করিয়া ও তর্ক খরচের