বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাৰ।। 88e অপূৰ্ব্ব কীৰ্ত্তিসকল কালসমক্ষে দণ্ডায়মান রাখিতে সমর্থ হইয়াছে। গ্রীকের ধনবত্তা ভারতের শতাংশের একাংশ নহে বটে, কিন্তু তথাপি গ্ৰীক তাহার ধনবত্তার যে মনোহর চিহ্নসকল রাখিয়া গিয়াছে, ভারত তাহার শতাংশের একাংশ রাখিতেও সমর্থ হয় নাই। ভারত যাহা রাখিয়া গিয়াছে, তাহ কেবল পুথিগত খেয়ালপূর্ণ কতকগুলি বর্ণনাঘটামাত্র। মিসরও ধৰ্ম্মোন্মত্ত ছিল, কিন্তু তথাপিও অনেক কীৰ্ত্তি রাখিয়া গিয়াছে। বাঞ্ছারাম বলিতে পার, মিসরের রাখা আর ভারতের না রাখা, এ উভয়কে সমশ্রেণীর ও সমকারণসস্তৃত বলিলে বলা যায়। মিসর কীৰ্ত্তি অনেক রাখিয়া গিয়াছে বটে, কিন্তু সে সকল জাতীয় কীৰ্ত্তি নহে—তাহাও ব্যক্তিগত,—তাহাও ব্যক্তিবিশেষের ধৰ্ম্মোন্মাদ এবং মিসরীয় পরলোকবুদ্ধি হইতে উৎপন্ন। ভারতের ধৰ্ম্মবুদ্ধি এবং পরলোকবুদ্ধি স্বতন্ত্র। একে স্বতন্ত্র ; তাহাতে আবার যে পৰ্য্যায়ের ধৰ্ম্মোন্মাদে লৌকিক ঘোরঘটা ও আড়ম্বর উৎপন্ন হইতে পারে; ভারত তাহাকেও অনেকদূর অতিক্রম করিয়াছিল—“জ্ঞানং বিমোক্ষীয় ন কৰ্ম্মসাধনং । অতএব যে ধৰ্ম্ম ও পরলোকবুদ্ধি হইতে মিসরের কীৰ্ত্তি, তাহারই ফলে ভারতে কীৰ্ত্তিশূন্যত। দ্বিতীয়তঃ, মিসর এবং ভারত উভয়ে, অল্প কয়েক জনের ঘরে অপরিমিত ধনসঞ্চয়হেতু সাধারণে দারিদ্র্য ও শ্রমসুলভতা ঘটায়, ভারতীয় ধনী যেখানে বিলাস কল্পনা করিত, মিসরীয় ধনী সেখানে পরলোক-জাগান কীৰ্ত্তি কল্পনায় আনিতে সমর্থ হইতে পারিত, এই মাত্র প্রভেদঃ—উভয়ের কারণ এক, কাৰ্য্যে কেবল খেয়ালভেদ মাত্র। সে যাহা হউক, এখন সৌভাগ্য বল সামাজিকতরল, রাজনীতি বল,বাবাহাই বল, যতক্ষণ তাহ সৰ্ব্বজনীন না হইবে এবং যতক্ষণ তাহাতে সৰ্ব্বসাধারণ লোক অংশভাগী ও উৎসাহিত হইতে না পরিবে, ততক্ষণ তাহ উজ্জল ওম্বায়ী চিত্র