পঞ্চম প্রস্তাব । 8'అనె ষে জাতি ভাবুকতাপূর্ণ এবং কল্পনাপ্রিয় এবং চিত্ত যাহার নিয়ত নিসর্গসন্দর্শনে মুগ্ধ, তাহার নিকট জ্যোতিষ্কপিণ্ডপরিপূর্ণ প্রত্যক্ষ অনন্তমূৰ্ত্তি আকাশপটের ন্যায় দর্শনীয় পদার্থ আর কি হইতে পারে ? চিত্ত যে কোন পদার্থ আগ্রাহাতিশয্যে দর্শন করিয়া থাকে, তাঁহারই তত্ত্ব উদ্ভাবনের নিমিত্ত গাঢ়তররূপে নিবিষ্ট হয়। পুনশ্চ, এ কথা যদি সত্য হয় যে, চন্দ্র, স্বৰ্য্য, গ্রহমণ্ডলীর বিস্ময়কর গতিবিধি এবং অদৃষ্টপূর্ব প্রাকৃতিক কাৰ্যকলাপ দর্শনে আদি মানবের মনে যে বিস্ময়রসের উৎপাদন হয় এবং নিসর্গাতীত শক্তির অস্তিত্ত্ব বিষয়ে যে বোধ জন্মে, তাহা হইতে কালক্রমে দেবতত্ত্ব প্রধানতঃ রূপ গ্রহণ করিয়া থাকে এবং সেই সকল চিত্তমোহকর পদার্থ দেবত্বব্যঞ্জক দেবপ্রতিমূৰ্ত্তিপদে বরিত হয় ; তাহা হইলে, স্বচ্ছলতাযুক্ত মানবচিত্ত যে আপন অবসরকালের কিয়দংশ, সেই সেই দেবতত্ত্ব ভেদ ও দেবত্বব্যঞ্জক দেবপ্রতিমূৰ্ত্তিগণের স্বভাব ও গতিবিধি নিরূপণে ব্যয়িত করিবে, তাহাতে আশ্চৰ্য্য কিছুই নাই। এই নিমিত্ত আমরা দেখিতে পাই যে, প্রাচীনকালে যে যে দেশ স্বচ্ছলতীহেতু অতি অল্পদিনেই অবসর লাভ করিয়াছে, সেইখানেই মানবচিত্ত জ্যোতিষ্কমণ্ডলের কোন না কোনরূপ চর্চায় নিবিষ্ট হইয় তাহাতে প্রতিপত্তিলাভে সিদ্ধকাম হইয়াছে। এ কারণে, প্রাচীন জ্যোতিষতত্ত্ব আলোচনাস্থলে মিসর, ব্যাবিলন, চীন ও ভারতবর্ষের নাম যেরূপ অগ্রে গণনায় আসিবে, গ্রীস কি রোম কিংবা তদ্রুপ অন্তান্ত পাশ্চাত্য দেশের নাম সেরূপ গণনায় আসিবে না । ভাল, জ্যোতিষ বিষয়ে প্রাচীন ইতিহাস কিঞ্চিৎ আলোচনা করিয়া দেখা যাউক যে, এ বিষয়ে কে কোন কালে এবং কি প্রকার সার্থকতা লাভ করিতে সমর্থ হইয়াছিল।