বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৮৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

গ্রীক ও হিন্দু। এক্ষণে একবার গ্রীকদিগের সাহিত্যসংসারে প্রবেশ করিয়া দেখ, দেখিতে পাইবে দিব্য একখানি বড়বাজারের মণিহারীর দোকান সাজান রহিয়াছে ; ইহাতে আছে অনেক বস্তু সন্দেহ নাই, কিন্তু ভিতরে কাহারও জন্ত অনুসন্ধান করিতে হয় না ; যাহা কিছু anইবার ও দেখিবার, সকলই সন্মুখে থরে থরে সজিনি আছে ; সকলই দেখিতে চক মক ঝক মক্‌ করিয়া চক্ষু বলসাইয়া দিতেছে, নকণ্ঠে বাহিরের খরিদার ভিতরে টানিয়া আনিতেছে, অথচ ন্ধিৰ সকলেরই দাম কম। আর ভারতীয় সাহিত্য সংসার ?-উহ আমাদের দেশীয় অলঙ্কারব্যবসায়ী স্বর্ণকারের দোকান ; নতুবা ঐ কালিঝুলি ছাইকয়লার মিশালে, বাকমল, পইচে, বাউট, হামুলি প্রভৃতি সাজান রহিয়াছে কেন? মোটা মোটা, ভারি ভারি, ঠসকশূন্ত, চটকশ্বন্ত, মণিহারীর দোকানের শতাংশের এক অংশওনয়নরঞ্জক নহে! শ্ববিদদার আপাততঃ দেখিবামাত্র হয়ত উপহাসে মুখ বাকাইয়া চলিয়া যায়। কিন্তু বাপু, তোমার আমার উহা নয়নরঞ্জন না করুক, তোমার আমার উহাতে দরকার নাই"থাকুক, কিছু ষে সোণার মৰ্ম্ম বুঝে, সে ঐ দোকান ভিন্ন সোণার তল্লাসে অন্ত দোকানে যাইবে না । ঐ গহনাগুলি নমুনামাত্র, উহা দেখিয়া যদি কেহু দোকান চিনিয়া লয়, তখন তাহাকে কেমন খরিদদার তাহা বুঝিয়া তেমন তেমন গহন সিন্ধুক হইতে বাহির করিয়া দেখান যাইবে। ভারত-সাহিত্যের ভাব এই যে, জিনীয়কে অবলম্বন মাত্র করিয়া, তৎপ্রতি দৃষ্টিপাত অনাবস্তক বোধে, একেবারে অচিন্তনীয়তে লইয়া উপস্থিত করে ; আর গ্রীকসাহিত্যের ভাব এই যে, যে চিন্তনীয় অপরের দ্বারা অনাবশ্বকবোধে বিনা দর্শনে পরিত্যক্ত, উহা সেই চিন্তনীয়কেই সৰ্ব্বাবয়বে সুদর্শন, সুন্দর ও বৈচিত্ৰবছলরপে দেখাইয়া তৎপ্রতি তোমার মোহ উৎপাদনও