eg || 8** ভালই ; কিন্তু তাঁহাকে যে আবার স্বগ্রন্থনে ভিত্তিস্বরূপ করিয়া তদবলম্বনে তজ্জাতীয় নূতন তত্ত্বের আশায় হস্ত-প্রসারণ এবং তৎস্থত্রে এক নূতন বিস্তাবিশেষের উদ্ভাবন করিব, সে অভ্যাস বড় নাই। স্বতরাং বলিতে হইবে যে, ইহারা যাহা কিছু তদ্রুপ তদ্রুপ জ্ঞান লাভ করিতেন, সে জ্ঞান যতই উচ্চ হউক, তাহা দৈব-প্রেরিতবৎ এবং তাঁহ খণ্ড ও বিস্তারশূন্ত রূঢ়ি জ্ঞান। বলা বাহুল্য যে, অসাব্যস্ত স্বত্র বা দৈবের উপর যে যে জ্ঞানের জন্য যাহাকে নির্ভর করিতে হয়, সেই সেই জ্ঞান সম্বন্ধে তাহার অপেক্ষণ দুঃখী ও অসাব্যস্ত মানুষ পৃথিবীতে আর নাই। গ্রীক-জীবনে এরূপ নহে ; ক্রিয়াক্ষেত্রে কথিত বিষয়সমূহে যখন ষে জ্ঞান নূতন লাভ করিয়াছে, তাহাকে তৎক্ষণাৎ সাজাইয়া এবং যথোপযুক্ত তাহার শ্রেণী নির্দিষ্ট করিয়া বিজ্ঞানপদবীতে । প্রতিষ্ঠিত করিয়াছে ; এবং তাঁহাকে আবার অবলম্বন করিয়া নৃতন তত্ত্বের অনুসন্ধানে প্রবৃত্ত হইয়াছে । পুনশ্চ, এবহুপ্রকারে কার্য্য-কারণ সম্বন্ধ নিৰ্ব্বাচন সহ উদ্ভাবিত তত্ত্বসকল শ্রেণীবদ্ধ আকারে পরিণত হওয়াতে তাহ পৃথক শাস্ত্ররূপে গণিত ও অধীত এবং কাৰ্য্যকালে অমুস্থত হইত এবং তজ্জন্ত তত্ত্বৎবিষয়ক যে কিছু সম্ভবপর উত্তর উন্নতি, গ্রকেরা তাহ ইচ্ছাপূর্বক, জ্ঞানপূর্বক এবং আত্মগণনার অভিমতরূপ লাভে সমর্থ হইতে পারিত। অতএব গ্রীকদিগের দ্বারা উদ্ভাবিত ও শ্রেণীবদ্ধ তত্ত্বসমূহ, কোন কোন অংশে অপেক্ষাকৃত সামান্ত হইলেও তাহা সাব্যস্ত এবং তাঁহাকে অবলম্বন করিয়া তত্ত্বৎ বিষয়ের অগ্র পশ্চাৎ দেখিতে পারা যায়। হিন্দুদিগের উদ্ভ৮ বিত তত্বসকল খণ্ডাকৃতি হেতু ইতস্ততঃ বিক্ষিপ্ত থাকায় ও তাঁহাদের পরস্পরের মধ্যে গ্রন্থনরজ্জর অভাব হওয়ায়, তাহদের অবলম্বনে যথাযোগ্য অগ্রপশ্চাৎ অবলোকন অথবা তাহদের উপরে কোন
