পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চম প্রস্তাৰ। asజ ব্যুৎপত্তি—কোন গাছ ব্রাহ্মণ, কোন গাছ চণ্ডাল, কোন গাছ পুরুষ, কোন গাছ স্ত্রী, এবস্তৃত বিভাগবোধ। পাশবতত্ত্ববিদ্যা—আত্মার কর্ণসুত্রবশে ইতর হইতে ইতরতর অবস্থা প্রাপ্তার্থে চৌরাশী লক্ষ যোনির স্বষ্টি, ইত্যাদি। কিন্তু এক কথা । হিন্দুর চিরকাল আত্মদেশমধ্যে আবদ্ধপ্রায়, গ্রীকের তুলনায় অপরাপর দেশীয় লোকের সহিত সংস্রবে অল্পই আসিয়াছিল বলিতে হয় ; অন্ত দিকে গ্রীকের তদ্বিপরীতে অপরিমিতভাবে অপরাপর দেশীয়দিগের সংস্রবে আসিয়াছিল। সুতরাং ইহার একই বিষয়ে পাঁচদেশীয় পাচরূপ বুদ্ধির সঙ্কলনে এবং তাহার সহিত নিজবুদ্ধির সামঞ্জস্তসাধনে, বিষয়বিশেষ লইয়া যে ভারতকে অনেক অতিক্রম করিয়া চলিয়া যাইবে, তাহাতে বিচিত্র কিছুই নাই। কারণ, একে সেই সেই বিষয় হয়ত হিন্দুদিগের প্রকৃতিযুজ্য নহে, তাহাতে আবার বাহ সাহায্য তাঁহাতে কিছুমাত্র ছিল না । কিন্তু আবার যে যে বিষয়, গ্ৰীক এবং হিন্দু উভয়েরই প্রকৃতি কর্তৃক সৰ্ব্বাংশে অনুমোদিত, এবং যাহা উভয়কেই বিনা সাহায্যে অনুসরণ করিতে হইয়াছে, তথায় একবার সেই অমুস্থত বিষয়ের মধ্যে বিচার করিয়া দেখ, কে কতদূর দৌড় দেখাইতে সমর্থ হইয়াছে ; তাহা হইলে মনীষাচালনায় কে কতটা উচ্চতর, তাহা স্পষ্টতঃ জানিতে পারিবে। তেমন স্থলে ভারতকে উৰ্দ্ধে:ভিন্ন নিম্নে দেখিতে পাইবে না । - এক্ষণে পূৰ্ব্বাপর আলোচনা করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, আনুষ্ঠানিক বিদ্যাদিতে হিন্দুরা বিশেষ কিছুই উন্নতি সাধন করিতে পারেন নাই। ব্যবহারগ্রন্থাদি ধৰ্ম্মবিষয়ক অভিনীতিবহুল । সাহিত্য ধর্শ্ব-বুদ্ধিতে পরিপুষ্ট ও অতি উচ্চ। কৃষি বাণিজ্য, সমুদ্রযাত্রা, শিল্প প্রভৃতি বিদ্যার ভারতে অবিশ্বক অনুরূপ উন্নতি সাধিত হইয়াছিল