পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

वर्छ ©रडांद । est থাকে, সেও সেই ভিক্ষুক ব্রাহ্মণদিগের প্রসাদাৎ। অনেক মূর্ধ বলিয়া থাকে, ব্রাহ্মণের অর্থ আপন গণ্ড চাহিয়া আত্মস্বার্থে দেশ উৎসন্ন দিয়া গিয়াছেন এবং আপন স্বর্থসাধনের জন্ত অযথা ক্রিয়াকলাপের বিস্তার করিয়া লোক সকলকে আকুলিত করিয়া তুলিয়াছেন। বস্তুতঃই মূর্থ ভিন্ন, জ্ঞানান্ধ ভিন্ন আর কেহ এরূপ বলিতে পারে না। ব্রাহ্মণ বিলাসপ্রিয় হইলে পতিত হইবে বলিয়। যথায় বিধানিত ; এবং ক্রিয়াকলাপ সহস্ৰগুণে বৃদ্ধি হইলেও প্রাপ্য অংশ যাহাদের কেবল কিঞ্চিং আতপ চাউল ও দুই কাচকলা ভিন্ন অন্ত কিছুই নছে ; বলিতে পার বাপু বাঞ্ছারাম, তথায় আত্মস্বার্থের অস্তিত্ব সম্ভবপর কোন জায়গায় ? মুষ্টিভিক্ষা, গাছের বস্কল এবং গাছের তলায় এমন কোন স্বার্থ যাইয়া আশ্রয় লইতে পারে, যাহাতে তোমার, তোমার বংশাবলীর এবং তোমার জাতির যথাসৰ্ব্বস্ব হৃত হওয়ার সম্ভাবন এবং যাহার জন্য আজি পৰ্য্যন্ত তোমাকে লাঞ্ছনার ভাগী হইতে হয় ? ফলতঃ নরাধম ভিন্ন আর কেহই প্রাচীন ব্রাহ্মণের নিন্দীঘোষণায় অগ্রসর হইতে পারে না— o: “কো ধৰ্ম্মঃ কশ্চ দেবেতি কিং কৰ্ম্মেতি তথাপরে, বদন্তি দুর্জন মুঢ়াঃ ব্রহ্মহিংসাপরায়ণাঃ ” মহতের অবমাননাই শয়তানী সময়ের প্রথম ও প্রধান লক্ষণ । পিতৃপুরুষগণ, তোমাদিগের প্রতি ভক্তির দিন উদয় হইতে এখনও অনেক বিলম্ব ! ব্রাহ্মণগণ নিজগঠিত সমাজের প্রতি নিজে এক সময়ে অনিষ্টকর হইয়াছিলেন বটে, কিন্তু সে অর্থাদি স্বার্থশে নহে, শাস্ত্রজ্ঞানের সঙ্কীর্ণত ও তত্ত্বৎপন্ন ভ্ৰমান্ধত হেতু ; এবং তাছাও, যখন পার্শ্বস্থ মানবগণের অবাধ্যভাবোংপন্ন মূর্খতার সংস্পর্শে ভ্ৰমান্ধকার আসিয়া স্বতঃ উপস্থিত হইয়াছিল। যাহা ইষ্টক, তথাপি ভ্রমণের