বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫. ৫২ ." গ্রীক ও হিন্দু। সমাজের অবস্থায় আসিয়া উপনীত হইবে ; কিন্তু তাঁহা বাঞ্ছনীয় নহে । অতএব ইহাই বরং উপযুক্ত ও ন্যায় বিবেচনার কার্য্য যে, সকল স্ত্রীলোককেই জীবনে এক এক বার বিবাহের সুযোগ দেওয়া হয় ; তাহার পর যাহার ভাগ্যে যাহা ঘটে, সেইই তাহার গতি । ভাল, তাহাই যদি হইল, তবে আর বর্তমান হিন্দুসমাজে বিধবাবিবাহের অপ্রচলনে দোষের কথা কোথায় ? বিধবাবিবাহ অপ্রচলনের আরও একটা প্রধান ফল এই যে, তারা অযথা লোকসংখ্যা বৃদ্ধি হইতে পায় না। ভারতীয় দৈন্তসমাজ এখনই যে শোচনীয় অবস্থায় উঠিয়াছে তাহ প্রচুর, তাহার উপর আবার অযথা লোক বৃদ্ধি হইতে পাইলে, কি দুর্দশাই না ঘটত ? তাহার পর, ব্যভিচারের বিষয় বিবেচনা করিয়া দেখ —যে যে দেশে সৰ্ব্বপ্রকারের বিধবাবিবাহ প্রচলিত, সেখানেও ত ব্যভিচার ও বেস্তাবৃত্তির কিছুমাত্র নূ্যনত নাই, বরং বেশী ; অতএব ব্যভিচারনিবারক বলিয়। যে বিধবাবিবাহের ৰৈধত সমর্থন করিবে, তাহীও করিতে পার না। যতদিন পৃথিবীতে পাপ, তাপ ও বিশৃঙ্খলা থাকিবে, ততদিন তদানুষঙ্গিক ব্যভিচার ঘটনাও অনিবাৰ্য্য । বিধবাবিবাহের অমুকুলে কেবল এই একটি কথা দেখিতে পাই ;– যে সকল পুরুষ পূৰ্ব্বস্ত্রীর মৃত্যুজন্ত অসময়ে দ্বিতীয় বা ততোধিক বার দারপরিগ্রহ করে, তাহদের পক্ষে অনুঢ়া অপেক্ষ বিধবার সঙ্গে বিবাহ হওয়াই প্রশস্ত। স্ত্রী পুরুষের সংখ্যার সমতা হেতু, উপরে যেমন স্ত্রীলোকের একাধিক বিবাহ দুষিত হইয়াছে ; পুরুষের পক্ষেও সেইরূপ একাধিক অনুঢ়া বিবাহ দূষিত বলিলে সুবিচার ও সমতা রক্ষিত হয়। সুতরাং প্রথম বিবাহের পর, যে কোন মৃতদার পুরুষ বিবাহ করিবে, তাহার পক্ষে বিধবাবিবাহই যুক্তিযুক্ত। এরূপ