পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ প্রস্তাব । ' @@@十 এরূপ কোর্টসীপ ও বয়ঃস্থাবিবাহ অপেক্ষা, বাল্যবিবাহ অনেক ভাল। বাঁধ ও ছাগলে খাদ্য-খাদক সম্বন্ধ ; কিন্তু তথাপি দেখা গিয়াছে ষে, শৈশব হইতে উভয়ে একত্র পালিত হইলে, উভয়ের মধ্যে প্রণয় ও সখ্যতা জন্মিয় থাকে। বাল্য সহচারিতার এতই গুণ ! সেই বাল্য সহচারিতা হেতু, পত্রিকন্যা উভয় উভয়ের প্রকৃতি প্রাপ্ত হইয়া গঠিত হয় ; বালিকা যেমন সংসারস্থলীতে আগত হয়, তদুপযুক্ত হইবার জন্ত বাল্যকাল হইতেই তাহাতে অভ্যস্ত হইতে থাকে ; এ দিকে আবার অপাত্রী বা অপাত্রগত হওয়া হইতে রক্ষার নিমিত্ত, গোড়ায় পাত্র ও পাত্রীর পিতামাতা প্রায়ই উভয় উভয়তঃ বংশ, বিভব, আচার ও উপযুক্তত বিচারপূর্বক বিবাহ সংঘটন করিয়া দেয়। ইহার ফলও অতি উৎকৃষ্ট হয় ; যেহেতু প্রায়ই দেখিতে পাওয়া যায় যে, ভারতীয় স্বামী স্ত্রীতে যত মিল ও যে পরিমাণে তাহারা শান্তিপূর্ণ নিরাবিল গৃহমুখ ভোগ করিয়া থাকে, সেরূপ অন্ত কোথাও কদাচিৎ ঘটনা হয়। অবশ্য ভাল মন্দ সকল স্থানে, সকল সমাজেই আছে ; তবে কি না পরিমাণে অধিক যেটা, তাহ লইয়াই বিচার। গৃহমুখপূর্ণ ভারতীয় পরিবারের সংখ্যা অনেক অধিক । আর এক কথা, স্ত্রী যখন বাল্য হইতেই স্বামীর সহচারিতায় শিক্ষিত হয়, তখন তাহার শিক্ষায় নুনতা বা আধিক্য, দোষ বা গুণ, স্বামীর উপরেই অধিক পরিমাণে নির্ভর করিয়া থাকে এবং তাহার ভাল বা মন্দের জন্ত, স্বামীকেই অধিক পরিমাণে দায়ী বলিতে পারা যায়। o অনেকের বিশ্বাস, বাল্যবিবাহই ভারতীয় সমাজের অধঃপতনের একটা প্রধান কারণ। কিন্তু মম্বাদি শাস্ত্রের প্রমাণে জানা যায় যে, বাল্যবিবাহ ভারতে চিরকালই আছে ; অথচ কিন্তু এই ভারতে, জন্য তাবৎ জাতীয় জীবন ও ইতিহাসের তুলনে, অতি দীর্ঘকাল