বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৫৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰষ্ঠ প্রস্তাব । , ❖©ማሕ নীতিপথগামী এবং কি পরিমাণে বা তাহ নিষ্ঠা ও কর্তব্যসম্পন্ন ? ফরাসিস মন্টেইন কহিয়া গিয়াছে যে, প্রত্যেক মানুষ যদি সরলভাবে আপন আপন মনের কথা প্রকাশ করে, তাহা হইলে নিশ্চয়ই পৃথিবীর প্রত্যেক মানুষকে জীবনে অন্ততঃ পাঁচ ছয় বার ফাসিকাঠে ঝুলিতে হয়। ঠিক কথা ! পাষগুপণ, কদাচরণ বা সকলবিধ কুচিন্তাই, সবল ও সুস্থকায় মানুষের মন দিয়া যে প্রতিনিয়ত কত গতায়াত করিয়া থাকে, যে কেহ সতর্কভাবে আপন মনকে পরীক্ষা করিয়া দেখিবে, সেই তাঁহা অনুভব করিতে পারিবে ; উত্তম, মধ্যম, অধম, অতর্কিত অবস্থান্বিত সকল চিত্তেই, তাহ সমান। সেই কুচিন্তারাশিকে অকৰ্ম্মণ্য করিয়া রাথিতে আত্মিক শক্তি প্রয়োগের যে নুনাতিরেক ভাব, তাহ হইতেই জ্ঞানসংসারে মানবের উত্তম, মধ্যম, অধম, ইত্যাদি পৰ্য্যায়ভেদ হইয়া থাকে। পুরুষের প্রকৃতি সবল, চিত্তশক্তি দৃঢ়, বিবেচনাশক্তি পুষ্ট, আত্মিক শক্তিও উন্নত ; তথাপি দেখ, জগতে পুরুষ কত দুষ্কৰ্ম্মশীল এবং কি সামান্যসংখ্যক লোক সে কুচিন্তারাশিকে দমনে সমর্থ এবং পরিপোষণে বিরত হয় । তবেই জিজ্ঞাস্ত, পুরুষের যদি এই দশা, তখন ক্ষীণপ্রকৃতি, ক্ষীণমতি ও ক্ষীণ-শক্তি স্ত্রী যদি পুরুষের সহ সমস্বাধীনতা পায়, তাহ হইলে তাঁহাদের আরও কত অধিক পরিমাণে দুষ্কৰ্ম্মশীল ও অধঃপাতিত হওয়ার সম্ভাবনা ? তাহার পর, স্বার্থ ধরিয়া দেখিতে, গেলে, সে পথেও অনর্থ দৃষ্ট হয় ; পুরুষ দুষ্ট হইলে অপরের ঘরে জঞ্জাল উৎপাদন করে, কিন্তু স্ত্রী দুষ্ট হইলে, জঞ্জাল আনিয়া উপস্থিত। করে আপন ঘরে । বস্তুতঃ কথিত ক্ষীণতা হেতু, স্ত্রীর শুদ্ধসত্ত যtহ, তাহার রক্ষণ এবং শুদ্ধসত্তার অভিপ্রেত কৰ্ত্তব্যসাধন, কেবল স্বাবলম্বনে যথোপযুক্ত সম্পন্ন হইতে পারে না। সুতরাং পুরুষের অপেক্ষা