বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। (t) প্রকটমান করিয়া থাকে ; নতুবা তাহাঁদের অভাবে সমস্তই অব্যক্তে বিলীন হইয়া থাকিত । ভাবে উৎপত্তি, অভাবে নিবৃত্তি এবং সত্ব । যাহা তাঁহাই স্থিতিরূপে কল্পিত হয় ; নতুবা অবিরত গতিশীল বা চলায়মান জগৎসংসারে, লৌকিক অর্থে যে স্থিতি, তাহা কোথাও কখন সম্ভবপর হইতে পারে না । হিন্দুশাস্ত্রে এই উৎপত্তিকে রজোগুণ, নিবৃত্তিকে তমোগুণ এবং স্থিতিকে সত্ত্বগুণের আখ্যা প্রদান করা হয় । সত্ত্বার সদা রূপান্তর হেতু, কি রজঃ কি তমঃ, একতর ইহাদের কখনই সত্ত্বগুণের সংস্রবশ্বন্ত হয় না ; এবং সেই জন্তই এ সংসারে নিরবচ্ছিন্ন অপকৃষ্ট বা উত্তম কোথাও দেখিতে পাওয়া যায় না। সত্ত্ব-রজঃ-তমঃ এই গুণত্রয়ই, শক্তিস্রোতের অস্তিত্ব বোধে একমাত্র পরিচয় তদ্ভিন্ন অপর পরিচয় নাই। গুণত্রয় পরিচয়ে মহাশক্তির অবিরতক্রিয়াশীলতাও উপলব্ধি হয় এবং মহাশক্তির অবিরতক্রিয়াশীলতা হেতুই, ব্ৰহ্মাও ও ব্ৰহ্মাণ্ডস্থ কাহারও পলক প্রমাণে বসিয়া থাকিবার সাধ্য নাই ; সকলেই অবিশ্রান্ত আবৰ্ত্তন ও পরিবর্তনে ঘূর্ণায়মান হইয়া চলিয়াছে। হিন্দুশাস্ত্রে ব্ৰহ্মাও-প্রক্রিয়ার কৰ্ত্ত পরমেশ্বরের ঐশ্বৰ্য্য-স্বরূপতাকে এই গুণত্রয়েরই অভিমানভেদে পৃথক্ করিয়া, ব্ৰহ্মা বিষ্ণু মহেশ্বর ইত্যাখ্যাত ত্ৰিমূৰ্ত্তি কল্পিত হইয়া থাকে। হিন্দুশাস্ত্রের স্তায় গৃঢ় তত্ত্ব ও গৃঢ় ধৰ্ম্ম আর কি কোথাও সস্তব হইতে পারে ? অতঃপর বলা বাহুল্য যে, একই নিয়ম সৰ্ব্বত্র সৰ্ব্ব পদার্থকে পরিচালনা করিয়া, একই উদ্দেশুমুখে, যথাগতিতে নিয়ন্তার অভিপ্রায় স্বসিদ্ধ করিতে চলিয়াছে। একই নিয়মে যথায় যতগুলিকে আবদ্ধ করা যায়, তথায় উদেখসিদ্ধিও ততগুলি সম্বন্ধে কখনও এক ভিন্ন দ্বিতীয় প্রকারের হইতে পারে না। সেই একই উদেশ্বসিদ্ধি সাধন করিতে যাহারা নিযুক্ত, তাহারা স্বতরাং সকলে এক সম্বন্ধস্থত্রে