বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\oe . গ্রীক ও হিন্থ। । বিষয়ে গাঢ় আগ্রহস্থৈৰ্য্য এবং স্থিতিশীল চেষ্টার অতিশয় অভাব। নিম্পন্দ,—তথাপি ৰে কিছু স্পন্দন দেখিতে পাওয়া যায়, তাহা কালপ্রবর্তিত প্রয়োজনজালের অপরিহার্ষ্য তাড়নে উদ্ভূত, জ্ঞান, স্বেচ্ছা ও ক্রিয়াশক্তিজাত নহে ; সুতরাং তাহা ( যেমন এরূপ অবস্থায় হওয়t উচিত ) সুপ্তমনীষার নষ্ট স্বপ্লবৎ ছিন্ন ভিন্ন, বিকট বা বিভীষিকাময়। হিন্দুসস্তানের বিশ্বাস এখন আর কোন বিষয়ে নাই, সকল বিষয়েতেই তাহা ছিন্নমূল এবং ভগ্নপদ ; যাহার-পর-নাই দাম্পত্য সম্বন্ধ ও মুখ, তাহাও পূর্ণ বিশ্বাসে অনুষ্ঠিত হইয় থাকে কি না সন্দেহ । তবু ফে ইহারা কখন কখন অথবা নিয়ত বাতুল চেষ্টায় বাতুলবৎ কাৰ্য্যারম্ভ ও তৎসাধনে আগ্রহ প্রকাশ করিয়া থাকে, তাহার মূল কৰ্ত্তব্যবোধ নহে, বিশ্বাস নহে, তাহা সাময়িক হুজুক। অথবা উপরে যাহা বলিয়াছি, কালপ্রবর্তিত প্রয়োজনজালের তাড়না । সামান্ত প্রয়োজনজাত কাৰ্য্য ও জ্ঞান, স্বেচ্ছা ও ক্রিয়াশক্তি কৰ্ত্তব্যবুদ্ধির যথাপরিমাণ প্রয়োগভাবে, ছন্ন বিকট ও বিভীষিকাময় হইয়া থাকে। যে প্রাচীন ভারত; যাহার কীৰ্ত্তি এবং গৌরব প্রভাবেই কেবল আজি পৰ্য্যস্ত আমরা গৌরবান্বিত,—যে কীৰ্ত্তি ও গৌরব নব্যভারত কর্তৃক নিত্য তুচ্ছীকৃত, উপহসিত এবং তাহার কর্তা পিতৃপুরুষ ব্রাহ্মণগণ নিরস্তর নিন্দিত,—সেই প্রাচীন ভারতে এক সময়ে, যে সময়েতে সেই কথিত কীৰ্ত্তি ও গৌরবরাশির সমুদ্ভব হইয়াছিল, সকল কাৰ্য্যই ধৰ্ম্মশাসনে বা কৰ্ত্তব্যশাসনে সুসম্পাদিত হইত। ব্যক্তিগণ তখন প্রতি কার্যো নিয়স্তার হস্ত, নিস্তার নির্দেশ দেখিতে পাইতেন ; শাস্ত্রকার ও বিধানকর্তারাও, যে কিছু কাৰ্য্য কৰ্ত্তব্য, তাহা ঈশ্বরের অতিপ্রেত ও আদিষ্ট জ্ঞানে ভক্রপ শিক্ষা প্রদান করিতেন। লোকে৪, যাহা যাহা ঈশ্বরের প্রিয়কাৰ্য্য, সুতরাং কৰ্ত্তব্য বলিষ অবধারিত,