বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“Stog গ্রীক ও হিন্দু। লোকসংসার প্রদাহিত। আচারশূন্ত, উদ্যমশূন্ত ভারতসন্তানের ক্রমে পথ হইতে বিপথগত হইতে আরম্ভ করিল। নব উপার্জনে বিরতি, সুতরাং সৰ্ব্বাত্মনা একমাত্র পূর্ব উপার্জিত বস্তুবিষয়ক ভোগমুখের অনুষ্ঠান হইতে লাগিল ; তাঁহা হইতে আলস্তজনিত জড়তার উৎপত্তি ; জড়ত হইতে মানবের আনুষ্ঠানিক জীবন ক্ষীণবল এবং তাহার পুনঃ অবশ্যম্ভাবী ফলস্বরূপে শারীরিক ও মানসিক শক্তি নিস্তেজ হইয়া আসিল । সুভাব, সৎ-উৎসাহ এবং কৰ্ম্মশীলতার উপর, শারীরিক ও মানসিক উভয় শক্তিরই বহিঃস্ফূৰ্ত্তি ও বিকাশ বহুলাংশে নির্ভর করিয়া থাকে ; সুতরাং তাহদের ইতরে ইতর; উৎকর্ষে উৎকর্ষ ভাব। জড়িমাজড়িত স্পনাহীন মানবচিত্ত এখন আত্মদোষোৎপন্ন ফল অদৃষ্টের প্রতি আরোপ করিয়া, আভ্যন্তরিক উত্তেজনা হইতে শাস্তিলাভের চেষ্টা করিতে শিথিল ;–যদিও সে চেষ্টায় সফলতা কখনও আইসে না। ছন্ন অদৃষ্টবাদ ও মায়াবাদের স্বষ্টি হইল। ধর্থের যে কিছু উত্তেজক ও উৎসাহবৰ্দ্ধক বিমলজ্যোতি, তাহা লোপ হইয়া আসিল। পরে ধৰ্ম্মকেও প্রস্থানোদ্যত দেখিয়, আশঙ্কায় ও আকুলতায় টকিদার ব্রাহ্মণের বহুধত্বে র্তাহার বসনাঞ্চল আকর্ষণে ধরিয়া রাখিবার জন্ত চেষ্টা পাইয়াছিল ; কিন্তু ধৰ্ম্ম এমন স্থানে থাকিবেন কেন ? তিনিও, মন্ত্র-প্রকরণাদিরূপ কিঞ্চিৎ ছিন্ন বসনাংশ তাহাঁদের হস্তে পরিত্যাগ করিয়া, অতর্কিতভাবে অন্তৰ্হিত হইলেন। এখন কৰ্ম্মকাও পরিত্যজ্য, অথবা কৰ্ম্মকাও এখন কিঞ্চিৎ আলোচাউল ও কাচকলা উৎসর্গে বা আলস্য-ঠেস হরিনামে । সংসার হইল দারুণ দুঃখের মূল ; যাহার-পর-নাই সহধর্মিনী পৰ্য্যস্ত স্বাক্ষসী এবং ধৰ্ম্মপথে কণ্টকস্বরূপ বলিয়া বিবেচিত, এবং সহধর্মিনীও ক্রমে যথার্থই রাক্ষসীমূৰ্ত্তিতে পরিণত হইতে চলিল। এহ্মণে নিৰ্ম্ম৷