পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

●●さ औक e हिन्दू । ধিক্কারবুদ্ধিও বাধা বড় দেয় না। বাঞ্ছারাম, আত্মগৌররবেরও ব্যবহার আছে ; প্রকৃত আত্মগৌরব, তাহা যাহা সৰ্ব্বদাই বিনতের নিকট ৰিনত থাকে, কেবল উদ্ধত দেখিলেই উন্নত হয়, এবং শ্রেষ্ঠত যাহার কেবল এক দুঃসাধ্য কাৰ্য্যসম্পাদনে প্রকাশ পায়। - সেই না জানি ’কেমন দিন, ষে দিনে ভারতসন্তান সে আত্মগৌরববোধে প্রবুদ্ধ হইবে ; পরস্পর পরম্পরকে ভাই ভাই বলিয়া আলিঙ্গন করিবে ; ধনী নিধনের চক্ষুজল মুছাইবে, নিধন ধনীর পৃষ্ঠবল হইবে, দরিদ্র এবং রাজা একাৰ্থস"যুক্ত হইয়া জাতীয় কৰ্ম্মক্ষেত্রে প্রবেশ করিবে। কিন্তু এখানেও আবার সে দিন এখনও অনেক দূরে ! সে দিন একটি জমিদার আমাকে বলিল,—প্রজার প্রতি ভদ্রতা দেখাইতে যাওয়া বা তাহার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা, কেবল অনর্থক প্রশ্রয় দেওয়া মাত্র, ‘কুধ কলা দিয়াকাল সাপ পোষা ।” এক্ষণে আর এক বার ভারত-ভরসাগণের প্রতি নেত্রপাত করিয়া দেখ । বৃদ্ধ, অৰ্দ্ধবয়স্ক এবং যুবা, বর্তমান সমাজে ইহারা কে কি রকম, তাহা উপরে উল্লেখ কুরিয়া আসিয়াছি । তাহীদের কৰ্ম্মকারিত্বের বিষয় একবার আলোচনা কর। পূৰ্ব্বকথিত বৃদ্ধ বা প্রাচীনের শিক্ষাকুষায়ী জীবন মিথ্যার আধার, মিথ্যাই উহার ভিত্তিভূমি। ঐ শিক্ষার স্থল মৰ্ম্ম, আত্মপ্রকৃতিতে আত্মঘাতী হইয়া, যখন ষে দিকে যেরূপ দেখিবে, তখন সেইরূপে চলিয়া নিজের কাজ সাধিয়া লইবে। এ বড় দুরন্ত শিক্ষা ! কিন্তু সহজ দৃশ্যে ইহা বড় মনোহর উপদেশ, এবং ইহাতে আপাততঃ সুখও অনেক দৃষ্ট হয়। কিন্তু ইহাও বুঝিতে হইবে যে, শয়তান যদি মিথ্যাকে এরূপ লোভনীয় আবরণে আবৃত না করে, সত্য হইতে ধৰি তাহার বেশী বাছনীয় মূৰ্ত্তি দেখাইতে না পারে, তবে সত্য হইতে লোক ভুলাইয়া আত্মপথে লইবে কি