বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। ΦωΦ হইতে থাকে যে আমি অযোগ্য, এবং যখন তাঁহার বিস্কারিত দৰ্শনজাত জ্ঞান হইতে সভূত যে কর্শ্বেচ্ছ, তাহাও প্রতিপদে অবরুদ্ধ হইতে আরম্ভ হয়, অথচ যখন তাহার প্রতীকারে শক্তি সঞ্চালন করিবার ক্ষমতা উদ্ভূত হয় নাই, তখনই মানবচিত্ত ম্ৰিয়মাণ এবং অবসন্ন হইতে থাকে ; এবং নিতান্ত অযোগ্য হইলে, হয় ত শক্তিসঞ্চালনক্ষমতা উদ্ভিন্ন হইবার পূৰ্ব্বেই ধ্বংস হইয়া যায়। পুনশ্চ, এই অবসন্ন ভাবের উপর আবার প্রকৃতিগত স্বীয় পূৰ্ব্ব বিকৃতি যদি কিছু থাকে, তাহা হইলে ত আর কথাই নাই –আমাদিগের বর্তমান অবস্থা, এই অবস্থা। যাহারা অভিজ্ঞ হইয়াছে, তাহাদিগের হইতে এ ধ্বংসাবর্তের উৎপত্তি ; অনভিজ্ঞ যাহার, সংস্রবে তাহারা ফলভাগী হইতেছে, যেমন জলন্ত প্রদীপের সংস্রবে অন্ত প্রদীপ প্ৰজলিত হইয়া থাকে । আমরা যে জুযোগ্য এবং আমাদের যে কৰ্ম্মেচ্ছা প্রতিপদে অবরুদ্ধ, তাহা আমরা গত দুই তিন পুরুষ হইতেই বিশেষরূপে অনুভব করিতে পারিতেছি ; এবং এই কারণেই গত দুই তিন পুরুষ श्झेण्डझे श्रांभब्रां এরূপ অবসন্ন, এবং এরূপ নানা কষ্টে ও বিশৃঙ্খলতায় ও নানা দুরবস্থায় ক্ষয় প্রাপ্ত হইয়া আসিতেছি –কে জানে আমাদের ভবিষ্যৎ ভাগ্যে আরও কি দারুণতর পরিণাম লিখিত রহিয়াছে। বেগ মত আকর্ষণকেন্দ্রাভিমুখে আসিতে থাকে, ততই তাহার গতি খরতর হয় ; আমরাও যে ধ্বংস-কেন্দ্রের অতি নিকটবৰ্ত্তা, তাহ ধ্বংসাবৰ্ত্তের খরতর বেগের দ্বারাই বুঝিতে পারা যাইতেছে। তাই আবার জিজ্ঞাসা করি, এ ধ্বংসাভিনয়ের বেগ কি তবে এখনও ফিরাইতে পারা যায় না ? o ফিরাইতে না পারা যাইবে কেন ? যখন দেখা যাইতেছে যে এ ধ্বংসাবৰ্ব কেবল নৈসর্গিক নিয়মের ফল নহে, মানবের আত্মদোয়ও