বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৬৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। - ove বর্তমান না থাকে, তাহা হইলে অবতারিত হইবারও সম্ভাবনা নাই। । বিশেষতঃ ৰখন “কালে বঙ্গ নিরবিধিবিপুল চ পৃথ্বী।” - ৩ । সাধন । সাধনা মাত্রে অসাধুর নিকট যেমন জটিল এবং দুঃসাধ্য, আবার সাধুর নিকট তাহা তেমনিই সরল এবং স্বসাধ্য। যে যাহার অধিকার সীমা কখনও স্পর্শ করে নাই এবং করিতেও অনিচ্ছুক, সে তাহার সাধনে অপরিমিত শ্রম, ক্লেশ এবং দুঃসাধ্য ভাব নিত্যই অবলোকন করিয়া থাকে সুমনেও সাধনা দুঃসাধ্যের স্থায় প্রতীয়মান ন হইয়া থাকে এমন নহে, কিন্তু সে যতক্ষণ সাধনাকে দূর হইতে দৃষ্টি করা যায় ; নিকট হইলে বা নিকট হইতে থাকিলে, আর তাহার সে দুঃসাধ্য ভাব তিষ্টিতে পারে না, ক্রমে ক্রমে দুঃসাধ্য ভাবকে দুর আকাশে বিলীন হইতে হয়। সাধনানিচয়ের দুঃসাধ্য ভাব সাধারণতঃ ততক্ষণ, যতক্ষণ তাহার আয়ত্তীকরণে হস্ত প্রসারিত করুt না যায়। বিশাল অধণ্য দুব হইতে দারুণ দুর্গমের ন্যায় অবলোকিত । হইতে থাকে, বোধ হইতে থাকে যেন পশু পক্ষী পৰ্য্যন্ত কাহারও তাহাতে প্রবেশ করিবার সাধ্য নাই ; অথবা পৰ্ব্বতশ্রেণী দূর হইতে বড়ই ঘুরারোহ বলিয়া বোধ হয় ; কিন্তু একবার নিকটে যাইতে পারিলে আর সেরূপ দেখায় না ; ওঁখন দেখিতে পাওয়া যায় যে, তাহাতে সকলেরই জন্ত শত শত প্রবেশপথ পুরোভাগে উদঘাটত হইয়া রহিয়াছে। মানব মিছা আতঙ্কে অনেক কাৰ্য্যের ধ্বংস করিয়া থাকে। যাহারা আতঙ্কে কাৰ্য্য নষ্ট করে, প্রকৃতি তাহদের সাধু হইলেও, ফলে তাহারা অসাধুর সঙ্গে সমান। যথায় ফল লইয়া কথা, তথায় সেই ফলের ব্যতিক্রম ঘটলে, দুষ্ট অসাধু এবং সাহসপুস্ত