পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

“sue औक ७ श्लूि । মাত্মশক্ত্যl," এ মহামন্ত্র সাধকের নিকট স্বয়ং দেবতারাও বিনতশির হইয়া থাকেন ;–অন্ত আপদের কথা কি কহিতেছ? লঙ্কাপতি রাবণ কুপথচারী হইলেও, এ মহামন্ত্রসাধনবলে স্বয়ং ইন্দ্রকে মালাকার, স্বৰ্য্যকে ছত্রধর করিতে সমর্থ হইয়াছিল। দিগ্বিস্তৃত নিবিড় অন্ধকারে, অদৃশুভাবে যে অনর্থসমুদ্র তোমাকে গ্রাস করিতে আসিতেছে, সাধনা ব্যতীত তথায় তোমার আত্মরক্ষার আর কি উপার থাকিতে শুনিয়াছ ? যে বিপন্ন অবস্থাকে স্বতন্ত্র জ্ঞানে আত্মরক্ষার জন্ত ভীত হইতেছ, তুমি কি জান না যে তুমি নিজেই সেই বিপন্ন অবস্থা স্বয়ং ? যে সাধনাকে বিপন্ন অবস্থার উপর গলগ্ৰহরুপে অবলোকন করিয়া, তাহাকে হেলনপূর্বক তফাত হইতেছ, তুমি কি জান না যে তাহাই তোমার সে অবস্থা হইতে উদ্ধারের একমাত্র উপায় ? কিন্তু কি আশ্চর্ষা ! তুমি একমাত্র সেই সৰ্ব্বরক্ষক অর্থকে গলগ্ৰহরুপে উপেক্ষা করিয়া, অজ্ঞাতে ঘোর অনর্থসমুদ্রের দিকে তোমার কল্পিত অর্থের আশাত্ৰমে ধাবমান হইতেছ ! বুঝিতে পারিজেছ না যে যাহাকে পরিহাস করা তোমার উদ্দেশু ও আবশ্যক, তুমি তাঁহারই করলে বদন অভিমুখে আপনা। হইতে অগ্রসর হুইয়া চলিয়াছ। পথ সহজগম্য, ইহাই তোমার পথের প্রলোভন : অধঃপাতের পথ চিরকালই সহজগম্যরূপে দৃষ্ট হয়। যে যে নর আপনার স্বনিহিত শক্তির প্রতি উপেক্ষা করিয়া, পরশক্তি সমক্ষে উদ্ধার, সৌভাগ্য বা শুভলালসা করিয়া থাকে ; তাহাদিগকে বস্তুতঃ এই অনর্থসমুদ্রে বঁাপ দিবার জন্ত লালসাবান বলিয়া বলা যায়। ইহাদিগের নিকট আত্মপরিচালনা নিত্যই দুঃখসকুলক্কপে প্রতীয়মান হইয়া থাকে। আলস্ত, অনাস্থা এবং পরশক্তিরত তোমার মুক্তি । অলিন্ত এবং অনাস্থা কবে কোথায় ভাগ্যের দেখা পাইয়াছে ?