বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:গ্রীক ও হিন্দু - প্রফুল্লচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায়.pdf/৬৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উপসংহার। ९६१ উহার মন্ত্রী, উহার একযোগ হইয়া আর তাবৎকে পরিচালন করিয়া থাকে। অতএব যে মানসিক কলুষ সৰ্ব্ব অনর্থের মূল, তাহা কি লোকত: কি ধৰ্ম্মতঃ, সৰ্ব্বপ্রকারে যথাসাধ্য পরিহার্য্য। মানসিক অসংবৃত্তি বা অসংবুদ্ধি সকল সতত সত্যকার্ঘ্যের বিরোধী ; ষে পরিমাণে তাহারা মানসক্ষেত্র অধিকার করিয়া থাকে, সেই পরিমাণে কৃত কাৰ্য্য সকল ছন্ন বা অসৎ সম্পাদিত ও অসৎ, পরিণামযুক্ত হয় । শক্তিসঞ্চালনে সহস্র উদ্যম এবং কৰ্ত্তবাবুদ্ধিতে প্রভূত বুৎপত্তি থাকিলেও, যদি মানসিক কলুষ অপসারিত করিয়া পবিত্রতা সংসাধন করা না যায়, তাহা হইলে সে শক্তি সঞ্চালন ও সে কর্তব্যবুদ্ধিতে কার্যকরী হইয়৷ কোন সুফল প্রসব করা দূরে থাকুক, প্রত্যুত তাহারা মানসিক কলুষের দাসরূপে পরিণত হওয়ায়, তাদের যে প্রভূত কাৰ্য্যক্ষমতা, তাহ বিকৃত দিকে চালিত হয় ও সম্ভব অপেক্ষা অপার গুণে বিকৃতির উৎপাদন করিয়া থাকে। অতএব আবার বলা বহুল্য যে, আত্মপবিত্রত ব্যতীত, শক্তিসঞ্চালন এবং কৰ্ত্তব্যবুদ্ধি সমস্তই বৃথা হইয়া যায়। এ জন্ত আত্মসংস্কারের দ্বারা পবিত্রত সাধন, কৰ্ত্তবাবুদ্ধির জাঁদ ও প্রধান কৰ্ত্তব্য বলিয়া জানিও। নতুবা, ঈশ্বরের প্রীতিপ্রাপ্তি যদি তোমার জীবনের উদ্দেশু হয়, তবে সেই প্রীতি তোমার কৃত যে সকল কার্থ্যের দ্বারা আকৰ্ষিত হইবার সম্ভাবনা, সে সকল কাৰ্য্য কখনও তোমার দ্বারা সম্পাদিত হইতে পারিবে না। এই আত্মসংস্কার এ পর্য্যন্ত আমাদের দেশে, একমাত্র বা প্রধানতঃ স্বর্গের সোপান এবং ধর্মের পথ বা স্বয়ং ধর্শস্বরূপ বলিয়া বিশ্বাসিত, এবং ভ্রমান্ধতায় তাহ কতই আড়ম্বর ও অতিনীতি যোগে পালিত হইয়া আসিয়াছে। উপায় বাহা, তাহা উল্লেখ বলিয়।