উপসংহার। ፃoፃ গুরুতর , যেখানে দপ্তর-নিয়মের চাপাচাপি, সেইখানেই গোঁজামিলান পাটােয়ারীপণার বাহুল্য। দেখ, ইংরাজি ছানী বঁধুনী আইনের ফল, দেশগুদ্ধ মিথ্যাপ্রাণ মামলাবাজী ; ইংরাজী দপ্তরনিয়মের ছাছনী বাধুনীর ফল, কেবল রিপোর্টপ্রাণ ইংরাজ গবর্ণমেণ্ট, ধৰ্ম্মবন্ধনের গোড়ামীর ফল, ভারতের আধুনিক অধঃপতন , আর ভারতীয় রাজশাসনের ফল, মহৎ প্রাণের দূর ভাব । অতএব মন্তব্যশক্তিকে ছন্দোবন্ধে আবদ্ধ করা সৰ্ব্ব অনিষ্টের মূল । কেবল কৰ্ম্মোপযোগী করিয়া দিবীর নিমিত্ত ছন্দোবন্ধের প্রয়োজন , কিন্তু কৰ্ম্মনিৰ্ব্বাচন ও সাধনস্থলে, পূর্ণ স্বাধীনতার একান্ত আবশ্বক বলিয়া জানিবে । কিন্তু এই সুযোগে এখানে এই একটি কথা বুঝাইতে চেষ্টা করিব। কোন একটি কাৰ্য্য আপাততঃ মুকাৰ্য্য বলিয়া দৃষ্ট হইলেও সহসা তাহার মোহে মোহিত হইও না। যে কাৰ্য্য কেবল তোমার মুখ বা শুভ উৎপাদন করে, কিন্তু সমাজ যাহাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তাহা মুকাৰ্য্যরূপে দৃষ্ট হইলেও স্ব নহে দেখ, দাতৃত্ব, সুপ্রবৃত্তি এবং দান করা মুকাৰ্য্য, কিন্তু যদি অপাত্রে দান কর, তবে আর তাহা মুকাৰ্য্য রহিল না ; হইতে পারে সেরূপ দান করায় তোমার মনে কিঞ্চিং মুখোংপত্তি হয়, কিন্তু সমাজ তাহীতে সম্যকৃরূপেই । ক্ষতিগ্রস্ত হয়। কারণ, সেরূপ দানে আলস্তের প্রতি উৎসাহ হওয়ায় অলসতার বৃদ্ধিহেতু যতগুলি লোক ভিক্ষাবৃত্তি অবলম্বন করে, সমাজ একদিকে ততগুলি লোকের শ্রম এবং শ্রমোৎপন্ন ফলে বঞ্চিত, অন্ত দিকে ততগুলি লোকের ভারে ভারগ্রস্ত হয়। ঐরাপ ক্ষমা করা একটি সৎকাৰ্য্য , কিন্তু অননুতপ্ত ষ্টকে ক্ষমা করিলে, আগে সে সঙ্কুচিত থাকায় যেখানে একটা দুষ্টামি কবিত, এখন সে অসঙ্কুচিত্ত
